জনগণের আস্থায় শীর্ষে সৌদী সরকার
সৌদি জনগণের সর্বোচ্চ আস্থা রয়েছে তাদের সরকারের প্রতি। এদিক দিয়ে সৌদি আরবের অবস্থান বিশ্বের শীর্ষে। দেশটির ৮৭ শতাংশ মানুষ সরকারের প্রতি আস্থাশীল। গত বছর তা ছিল ৮৬ শতাংশ। ‘এডেলম্যান ট্রাস্ট ব্যারোমিটার’ নামক সংস্থার এক সাম্প্রতিক জরিপে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
জরিপ অনুসারে চীনের অবস্থান দ্বিতীয়। দেশটির ৮৩ শতাংশ জনগণ তাদের সরকারের উপর আস্থাশীল। সংযুক্ত আরব আমিরাত এদিক দিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। সৌদি আরবের ৬৯ শতাংশ মানুষ মনে করেন যে, পরবর্তী প্রজন্ম একটি অধিকতর উন্নত জীবন মান উপভোগের সুযোগ পাবে। লক্ষণীয় যে সৌদি আরবের অর্জন বা সাফল্য ভিশন ২০৩০ এর সাফল্যের উপর আলোকপাত করে, যা প্রাতিষ্ঠানিক স্থিতিশীলতা ও শাসনকে দ্রুত করেছে এবং জনগণের আস্থায় একটি বৈশ্বিক নেতৃত্ব হিসেবে দেশটির অবস্থান তুলে ধরছে।
এই উচ্চাভিলাসী উদ্যোগের লক্ষ্য হচ্ছে, একটি গতিশীল সমাজ সৃষ্টি করা, যেখানে সকল নাগরিক উন্নতি ও সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারে। সৌদি আরব তার বৈশ্বিক নেতৃত্বের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জার্মানিকেও ছাড়িয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রে ৪৭ শতাংশ, যুক্তরাজ্য ৪৩ শতাংশ ও জার্মানিতে ৪১ শতাংশ জনগণ তাদের সরকারের প্রতি এ বিষয়ে আস্থাশীল।
সিঙ্গাপুরের ৭৭ শতাংশ জনগণ তাদের সরকারের উপর আস্থা রাখে। স্পেনের ৩৩ শতাংশ ও জাপানের ৩২ শতাংশ জনগণ এমন আস্থা রাখে। বৈশ্বিক ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গির ক্ষেত্রেও সৌদি আরবের অবস্থান প্রথম। ৬৯ শতাংশ জনগণ এমনটি মনে করে।
২০২৫ ট্রাস্ট ব্যারোমিটার সার্ভে ২৮ টি দেশের ৩৩ হাজার জনগণের মতামত সংগ্রহ করে। প্রতিটি দেশ থেকে ১১৫০ জন অংশগ্রহণ করেন। ২৫ অক্টোবর থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত পরিচালিত হয় এই জরিপ। জরিপকালে জনগণের আস্থা,প্রাতিষ্ঠানিক সফলতা, সামাজিক ইস্যুসমূহ এবং ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেয়া হয়। এটা সরকার ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যকারিতা ও নির্ভরযোগ্যতার ব্যাপারে জনগণের ধারণার বিষয়ে মূল্যবান ইনসাইট প্রদান করে। এছাড়াও এটা লিডারশীপ চ্যালেঞ্জসমূহ ও বৈশ্বিক প্রবণতাগুলোতেও আলোকপাত করে।