বৈশ্বিক সংঘাত নিরসনে মধ্যস্থতাকারী হয়ে ওঠেছে সৌদী আরব

সাম্প্রতিক সময়ে সৌদী আরব একটি গুরুত্বপূর্ন কূটনৈতিক কেন্দ্রভূমি হয়ে ওঠেছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে সৌদী আরবের রাজধানী রিয়াদে। ওয়াশিংটন ও মস্কোর ভাঙা সম্পর্ক পুন:স্থাপন ও ইউক্রেইন যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্য নিয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারী সৌদী আরবের উদ্যোগে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটি বিশ্ব অঙ্গনে দেশটির উদীয়মান প্রভাব জানান দিয়েছে। ১৮ তারিখের এই আলোচনা বৈঠকে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মধ্যে গুরুত্বপূর্ন সেতুবন্ধন রচনার ক্ষেত্রে দেশটির মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকার ক্রমবর্ধমান স্বীকৃতির মধ্যে এই প্রভাব লক্ষনীয়।
এ ব্যাপারে পরবর্তী আলোচনার তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারী। গালফ রিসার্চ সেন্টার এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ সাগের রিয়াদের মার্কিন-রুশ আলোচনার তাৎপর্যের ওপর আলোকপাত করতে গিয়ে বলেন, এক্ষেত্রে সৌদী আরবের নিরপেক্ষ ভূমিকা তাকে একটি আদর্শ আহ্বায়কের পদবী এনে দিয়েছে।
সাগের বলেন, বৈঠকে সৌদী আরব রাশিয়া কিংবা ইউক্রেইন কারো পক্ষেই অবস্থান নেয়নি। কারো পক্ষে অবস্থান নিতে দেশটি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেছে। বৈশ্বিক মিডিয়া আউটলেটগুলো সৌদী আরবের এমন অনন্য অবস্থান গ্রহনের বিষয়ে আলোকপাত করে বলেছে, দেশটি ইউক্রেইন যুদ্ধের মাধ্যমে রাশিয়া ও পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে ইতিবাচক বন্ধন রক্ষা করছে।
ইউক্রেইন সংঘাত ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারী শুরু হয়। রাশিয়া ইউক্রেইন অভিযানের নাম দেয়, ‘একটি বিশেষ সামরিক অভিয়ান’। সিএনএন বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার কর্মকর্তাদের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের এই বৈঠকের আয়োজন করে আন্তর্জাতিক বিরোধের ক্ষেত্রে সফল মধ্যস্থতাকারীর একটি বৈশ্বিক কুশীলব হয়ে ওঠার স্পৃহা প্রকাশ পেয়েছে। মিডিয়াটি এই মর্মে তাদের ধারনা প্রকাশ করেছে যে, যুদ্ধোত্তর গাজার ভাগ্য নিয়ে আলোচনা হবে সৌদী আরবের পরবর্তী লক্ষ্য।
সাগের বলেন, সৌদী আরব ইউক্রেইনে মানবিক সহায়তা দানে অবদান রেখেছে। রাশিয়ার হাতে বন্দী কিছু ইউক্রেইনীয়কে মুক্ত করার প্রচেষ্টায়ও অংশ নিয়েছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button