ব্রিটেনের মুসলিম কমিউনিটিতে রমজান

রমজান শুরুর পর লন্ডনে মুসলিম সম্প্রদায় পবিত্র রমজান মাসে পারিবারিক সম্মিলন, মসজিদে গমন ও বাড়িঘর সজ্জিতকরনের মধ্যে দিয়ে একটি অনন্য পরিবেশ সৃষ্টি করছেন। এসময় মুসলিমরা তাদের বাড়িঘর সাজান, মসজিদগুলোতে ভিড় করেন প্রার্থনাকারীরা এবং স্থানীয় বাজারগুলোতে ইফতার ও সাহরীর খাদ্যসামগ্রী ক্রয়ের জন্য ছুটেন ক্রেতারা। অনেকের কাছে রমজান মাস শুধু উপবাসের মাস নয় বরং ত্যাগ, দান ও ঐক্যের সময়।
লন্ডনের মুসলিম দোকানীদের কাছে রমজান একটি ব্যবসার মাস, কারন এসময় ক্রেতা ভোক্তারা প্রচলিত খাদ্যসামগ্রী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্য কেনার জন্য ভিড় করেন দোকান ও মার্কেটসমূহে।
উত্তর লন্ডনের একজন আফগান দোকানদার, নাম আলী। তিনি রমজানে প্রচুর খেজুর বিক্রি করেন। আলী বলেন, রমজান মাসে বরাবরই খেজুরের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। রমজান মাস শুরুর অনেক আগেই ব্যবসায়ীরা খেজুর এনে মজুদ করেন। সারা মাস জুড়ে এই খেজুর বিক্রি হয়। এটা প্রচলিত রীতির অংশ।
লন্ডনের অনেক পরিবার রমজানের চেতনা সৃষ্টির জন্য নিজেদের বাড়িঘর সাজানোর বিশেষ চেষ্টা করেন।
গালাল ইউসুফ নামক মিশরী ব্রিটিশ নাগরিক বলেন, তার স্ত্রী রমজান মাসের উৎসবমুখর পরিবেশ ও আধ্যাত্মিকতার প্রতিফলন ঘটাতে তাদের বাড়ি সাজান। ১৯৯৫ সাল থেকে তিনি সপরিবারে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন।
তিনি বলেন যে, তার স্ত্রী রমজানের সাজে সজ্জিত করেন বাড়িঘর এবং এতে তাদের দেশীয় রীতিনীতির সম্মিলন ঘটান যাতে দেশীয় সংস্কৃতির পরশ লাভ করেন।
ইউসুফ রমজান মাসে মুসলিম সম্প্রদায়ের চেতনা লালনের ক্ষেত্রে মসজিদগুলোর আবশ্যকীয় ভূমিকার ব্যাপারে আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, মসজিদগুলোতে সম্প্রদায়গত চেতনাবোধ চমৎকার। এখানে আমরা একে অপরের সাথে মিলিত হই এবং কোরআন তেলাওয়াত শুনি। আমরা একে অপরকে চিনি। কেউ যদি মসজিদে না যান, তবে তিনি ইংল্যান্ডে রমজান মাস উপলব্ধি করতে পারবেন না। লক্ষনীয় যে, লন্ডনের মসজিদগুলোতে এমন ব্যবস্থা করা হয় যাতে মুসল্লী অর্থ্যাৎ প্রার্থনাকারীদের স্থান সংকুলান হয় এবং রমজান মাস একটি তাৎপর্যপূর্ন অভিজ্ঞতা হয়ে থাকে।
নর্থ ফিঞ্চলে মসজিদের ইমাম হামিদ কোরেশী বলেন, আমি প্রতি রাতে তারাবীহ নামাজের আয়োজন করি। মুসলিম উম্মাহ একটি দেহের মতো। যদি এর একটি অংশ নিপীড়িত হয়, তবে তা বাকী অংশে অনুভূত হয়।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button