বিশ্বে চমক সৃষ্টি করেছে তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্প
তুরস্কের বিভিন্ন খাতের মধ্যে প্রতিরক্ষা হচ্ছে অন্যতম গুরুত্বপূর্ন খাত। আর এটা এখন দেশীয় গৌরবের সীমানা অতিক্রম করে একটি বৈশ্বিক বাস্তবতা হয়ে ওঠেছে। একই সাথে এটা বিশ্ব মিডিয়ার আকর্ষনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেছে। সম্প্রতি বিখ্যাত ফরাসী মিডিয়া ‘লি মন্ডে’ একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে ‘মেইড এন টার্কি’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে। এতে বলা হয়েছে, তুরস্কের অস্ত্র খাতে তাৎপর্যপূর্নভাবে বাইরের ওপর নির্ভরশীলতা হ্রাস পেয়েছে।
মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই এটা সম্ভব হয়েছে বলে নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে। পত্রিকার ‘দ্য স্পেকটেক্যুলার রাইজ অব দ্য আর্মস সেক্টর ইন টার্কি’ শীর্ষক এই নিবন্ধে তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্পকে শক্তিশালীকরনে তুরস্ক কর্তৃক সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গৃহীত পদক্ষেপসমূহের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষন করা হয়েছে।
নিবন্ধে এই মর্মে ইংগিত প্রদান করা হয় যে, প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোগানের অনুপ্রেরনায় বিদেশী সামগ্রীর ওপর দেশটির নির্ভরশলীতা ৩০ থেকে ৭০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
নিবন্ধে উল্লেখ করা হয় যে, তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্পে ২ হাজার কোম্পানী রয়েছে, যেখানে ১ লাখ লোক কর্মরত এবং বিশ্বের ১৭০ টি দেশে দেশটির প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রপ্তানী হচ্ছে।
এতে আরো বলা হয় য, ইস্তান্বুলে অবস্থিত ‘বায়কারে’র অত্যাধুনিক হেডকোয়ার্টারে ৪ হাজার লোক কাজ করছে, যাকে তুরস্কের সেরা অস্ত্র নির্মাতা কোম্পানীগুলোর অন্যতম বলে বিবেচনা করা হয়।
নিবন্ধে বলা হয় যে, এই কোম্পানীর নির্মিত মনুষ্যবিহীন যুদ্ধযানসমূহ (ইউসিএভি) রুশ-ইউক্রেইন যুদ্ধে ব্যবহৃত হয়েছে। এছাড়া এগুলো কারাবাখ ও লিবিয়ার সংঘাতে চমক দেখিয়েছে। নিবন্ধে বলা হয়েছে, প্রতিরক্ষা খাতে এমন কোন সরঞ্জাম নেই, যা তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্পে তৈরী করা হয় না। ইউএভি থেকে শুরু করে জঙ্গী বিমান সবই তৈরী হয় তুরস্কে।
এছাড়া ‘গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার’ সংস্থার উপাত্ত অনুযায়ী, তুরস্ক বিশ্বে নবম বৃহত্তম সেনাবাহিনীর অধিকারী।
এদিক দিয়ে জার্মানী, পাকিস্তান ও ইসরাইলের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে তুরস্ক। লক্ষনীয় যে, সাইপ্রাস পীস অপারেশনকালে যুক্তরাষ্ট্র তুরস্কের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা জারি করলে তুরস্ক তার অস্ত্রশিল্পের উন্নয়ন শুরু করে।