গাজায় ইসরাইলের মানবিক সহায়তা স্থগিতের নিন্দায় জাতিসংঘ
গাজায় সব ধরনের মানবিক সহায়তা বন্ধে ইসরাইলের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত সম্পর্কে হুঁশিয়ারি উচ্চারন করেছেন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞগন। তারা ইসরাইলের এই সিদ্ধান্তকে ‘ক্ষুধার্ত রাখার হাতিয়ার’ উল্লেখ করে এর নিন্দা করেছেন।
গাজায় যুদ্ধবিরতি স্থগিতের ইসরাইলী সিদ্ধান্ত এবং অবরুদ্ধ উপত্যকায় ‘দোজখের দরোজা’ পুনরায় খুলে দেয়ার জন্য মন্ত্রীদের আহ্বানের অনুমতি প্রদানের পরই জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞদের উপরোক্ত হুঁশিয়ারি ও বক্তব্য এসেছে। বিশেষজ্ঞরা ইসরাইলের এধরনের কর্মকান্ডের তীব্র সমালোচনা করেছেন এজন্য যে, এই সিদ্ধান্ত এমন এক সময়ে নেয়া হয়েছে যখন মুসলিমদের ধর্মীয়ভাবে তাৎপর্যপূর্ন রমজান মাসের দ্বিতীয় দিন পড়েছে।
তারা বলেন, দখলদার দেশ হিসেবে ইসরাইল খাদ্য, চিকিৎসা সহায়তা ও ক্রান সেবাসহ গুরুত্বপূর্ন সামগ্রী সরবরাহ নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক আইনে বাধ্য। বিশেষজ্ঞরা এই মর্মে জোর দেন যে, ইসরাইলের এসব পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও মানবাধিকারের লংঘন এবং এগুলো রোম স্ট্যাটিউটের অধীনে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতা বিরোধী অপরাধ হিসেবে শ্রেনীকৃত হতে পারে।
এছাড়া বিশেজ্ঞরা আরো বলেন যে, গত ১৯ জুনের যুদ্ধ বিরতি চুক্তি সত্বেও ফিলিস্তিনীদের প্রতি শত্রুতামূলক কর্মকান্ড অব্যাহত রয়েছে। এই চুক্তির পর থেকে ইসরাইলী বাহিনীগুলো কমপক্ষে ১শ’ ফিলিস্তিনীকে হত্যা করেছে। ফলে গাজায় মৃত্যুর সংখ্যা ৪৮ হাজার ৪ শ’তে পৌঁছেছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
তাদের মতে, ইসরাইল গাজায় অবরোধ আরোপ ও বোমাবর্ষনের মাধ্যমে একতরফাভাবে যুদ্ধবিরতির শর্ত লংঘন করেছে। তারা এই বলে আহ্বান জানান: বিশ্বকে অবশ্যই ইসরাইলের অব্যাহত সহিংসতা ও আইন লংঘন মূলক এসব কার্যকলাপ বন্ধ করতে হবে। গত বুধবার ফরাসী পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় সহায়তা স্থগিতের বিশেষভাবে রমজান মাসে সাহায্য স্থগিতকরনের নিন্দা জানান। ফরাসী মুখপাত্র ক্রিস্টোফে লেমোইন গাজার বেসামরিক জনগনের মধ্যে মানবিক সাহায্য সরবরাহে জরুরী পদক্ষেপের ওপর জোর দেন।
এতদসঙ্গে যুক্তরাজ্য ও জামার্নীও এক যুক্ত বিবৃতিতে ইসরাইলকে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা ও গাজায় সাহায্য সরবরাহের দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।