ইসরাইল গাজায় তাদের বাফার জোন সম্প্রসারণ করছে

ইসরাইল নাটকীয়ভাবে গাজায় তাদের দখলদারিত্ব বিস্তৃত করেছে। গত মাসে হামাসের বিরুদ্ধে পুনরায় যুদ্ধ শুরুর পর তারা এখন গাজার ৫০ শতাংশেরও বেশী এলাকা নিয়ন্ত্রন করছে।
এভাবে ইসরাইল ফিলিস্তিনীদের ক্ষুদ্রতর এলাকার মধ্যে আটকে ফেলার চেষ্টা করছে। ইসরাইলী সৈন্যরা গাজা সীমান্তের চারদিকে বৃহত্তম সংলগ্ন এলাকা নিয়ন্ত্রন করছে, যেখানে সৈন্যরা ফিলিস্তিনীদের বাড়িঘর, খামার ও অবকাঠামোসমূহ গুঁড়িয়ে অনাবাসযোগ্য করে ফেলেছে।
ইসরাইলী সৈন্য ও মানবাধিকার সংস্থাসমূহ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে এই সামরিক বাফার জোনের আকার দ্বিগুণ হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইসরাইল হামাসের কাছ থেকে অবশিষ্ট ইসরাইলী জিম্মিদের উদ্ধারের জন্য চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে কব্জা শক্ত করার এই সাময়িক ব্যবস্থা গ্রহন করেছে।
কিন্তু একটি করিডোরসহ যে ভূমি ইসরাইল দখল করে রেখেছে, সেটা অঞ্চলটির উত্তর থেকে দক্ষিনে দুই ভাগ করেছে। এই জায়গাটি গাজায় দীর্ঘমেয়াদী নিয়ন্ত্রনের জন্য ইসরাইল ব্যবহার করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেন, হামাসের পরাজয় সত্বেও ইসরাইল গাজায় তার নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রন বজায় রাখবে এবং ফিলিস্তিনীদের বিতাড়িত করতে চাপ দেবে।
পাঁচজন ইসরাইলী সৈন্য ‘দ্য অ্যাসোয়িটেড প্রেস’কে বলেছে, ১৮ মাস আগে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরাইলী সীমান্তবর্তী এলাকায় ধ্বংসলীলা এবং পদ্ধতিগতভাবে বাফার জোন সম্প্রসারনের কাজ চলে আসছে। তারা সম্ভব সবকিছু ধ্বংস করেছে, জীবন্ত যা দেখেছে (ফিলিস্তিনীদের) তাকে গুলি করেছে, তারা আর কখনো ফিরবে না। বাফার জোনে কর্মরত সৈন্যদের অনেকে বলেছে, ইসরাইলী সৈন্যরা অঞ্চলটিকে একটি বিশাল পরিত্যক্ত ভূমিতে পরিনত করেছে।
তারা আরো বলেছে যে, ব্যাপক ও পরিকল্পিত ধ্বংসযজ্ঞের মাধ্যমে সামরিক বাহিনী এই এলাকায় ভবিষ্যত ইসরাইলী নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক কাজ করেছে। ইসরাইলী সৈন্যদের মতে, তারা দেশের সুরক্ষার জন্য কাজ করছে এবং দক্ষিনাঞ্চলের কমিউনিটিসমূহের নিরাপত্তার উন্নয়নে এসব করছে, যা ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button