যুক্তরাষ্ট্রকে যুদ্ধে ভূখণ্ড ব্যবহার করতে দেবে না উপসাগরীয় দেশগুলো

সৌদি আরবসহ অন্যান্য উপসাগরীয় দেশসমূহ ইরানে আক্রমণ চালাতে তাদের আকাশসীমা কিংবা বিমান ঘাঁটিগুলো ব্যবহার করতে দেবে না যুক্তরাষ্ট্রকে। সপ্তাহান্তে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে বোমাবর্ষণের হুমকি দেন। এরপর দেশগুলো এই নিষেধাজ্ঞার কথা ঘোষণা করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জনৈক ঊর্ধতন কর্মকর্তা বলেছেন, সৌদি আরব সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এবং কুয়েত যুক্তরাষ্ট্রকে বলেছে যে তারা ইরানের বিরুদ্ধে একটি লঞ্চপ্যাড হিসেবে তাদের আকাশ সীমা কিংবা ভূখন্ড ব্যবহার করতে দেবে না তাদের। এমনকি পুনঃ জ্বালানি গ্রহণ ও উদ্ধার অভিযানও পরিচালনা করতে দেবে না তাদের ভূখণ্ড ব্যবহারের মাধ্যমে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই সাবেক কর্মকর্তা বলেছেন, তারা এসব ঝামেলায় জড়াতে চাইছে না। উল্লেখ্য, উপসাগরীয় দেশগুলোর এই অস্বীকৃতি ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য একটি ব্যর্থতা। তারা ইয়েমেনের হুথিদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের বিমান হামলা চালিয়ে ইরানকে সন্ত্রস্ত করতে চেয়েছিল, যাতে ইরানকে পরমাণু চুক্তির বিষয়ে আলোচনার টেবিলে আনা যায়।
যদি ইরান বুঝতে পারে যে যুক্তরাষ্ট্রের তেল সমৃদ্ধ মিত্রগুলো তাদের সাথে নেই তবে দেশটি তাদের আলোচনার ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নিতে পারে। এই সাবেক কর্মকর্তা আরো বলেন যে, যুক্তরাষ্ট্র আত্মবিশ্বাসী ছিল যে তাদের প্রতি উপসাগরের দেশসমূহের যথেষ্ট সমর্থন রয়েছে। তারা যুক্তরাষ্ট্রকে গুরুত্বপূর্ণ উদ্ধার ফ্লাইট উডডয়ন করতেও দেবে না অভিযান কালে যদি কোন মার্কিন বিমানকে ভূপাতিত করা হয়।
ট্রাম্প প্রশাসন উপসাগরীয় দেশগুলোকে তাদের পক্ষে আসার জন্য দেন দরবার করছে, কারণ যুক্তরাষ্ট্র তেহরানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ চাপ সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা গত মার্চে ওয়াশিংটন ডিসিতে প্রতিপক্ষ আমিরাত ও সৌদি আরবের কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাৎ করেন।
হুতিদের প্রথম হামলার সময় এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। কর্মকর্তা আরো জানান, উপসাগরীয় দেশগুলোর এ ধরনের নিষেধাজ্ঞার পর যুক্তরাষ্ট্র দ্রুত তাদের বোমারু বিমানগুলো ভারত মহাসাগরের দিয়াগো গারসিয়ার বিমান ঘাঁটিতে জড়ো করেছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button