মায়ানমার এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে সনাক্ত করেছে ফেরত নেয়ার জন্য
মায়ানমার বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে এক লাখ আশি হাজার রোহিঙ্গাকে পুনর্বাসনের উপযোগী হিসেবে শনাক্ত করেছে। বাংলাদেশ সরকার জানিয়েছে, মায়ানমার কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশকে নিশ্চিত করেছে যে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ৮ লাখ রোহিঙ্গার তালিকা থেকে একলাখ আশি হাজার জনকে তারা মায়ানমারে ফেরত তথা পুনর্বাসনের উপযোগী বলে সনাক্ত করেছে।
২০১৭ সালে রোহিঙ্গা বিরোধী সামরিক অভিযান কালে মায়ানমার থেকে ১৩ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে কক্সবাজারে চলে এলে বাংলাদেশ সাথে আশ্রয় প্রদান করে।
থাইল্যান্ড সফরকালে ডঃ মোহাম্মদ ইউনুস এক্স-এ প্রদত্ত এক বিবৃতিতে এসব কথা উল্লেখ করেন। তিনি থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে ‘বে অব বেঙ্গল ইনেশিয়েটিভ ফর মাল্টি সেক্টরাল টেকনিক্যাল এন্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন’ এর শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেন।
বার্মিজ সামরিক অভ্যুত্থানের নেতা মিং অং হেলেইংও অনুষ্ঠানে যোগ দেন। গত শুক্রবার ব্যাংককে মায়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উ থান শীউ মায়ানমারের ফেরত যাওয়ার উপযোগী রোহিঙ্গাদের তালিকা প্রকাশ করেন। বাংলাদেশ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডঃ ইউনুস এর উপদেষ্টা ডঃ খলিলুর রহমানের কাছে তালিকাটি প্রদান করেন।
মায়ানমার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে মূল তালিকার বাকি সাড়ে পাঁচ লাখ রোহিঙ্গার শনাক্তকরণ সম্ভব দ্রুত সময়ে সম্পন্ন করা হবে। গত নভেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রসিকিউটার সামরিক জান্তা মিন অংয়ের বিরুদ্ধে একটি গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারির আবেদন করেন।
এই মিন অং ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের উপর বর্বরোচিত সামরিক অভিযান চালান, যার ফলে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়।
মানবাধিকার সংস্থাসমূহ মায়ানমারের সামরিক বাহিনীর এই অভিযানকে গণহত্যা বলে অবিহিত করে।
রোহিঙ্গারা মায়ানমারে রাখাইন রাজ্যের অধিবাসী কিন্তু সংখ্যাগুরু বৌদ্ধ জনগোষ্ঠী তাদের অধিকার স্বীকার করে না।