গাজার গণকবর যুদ্ধের সীমাহীন নৃশংসতার প্রতীক
রাফাহ’র একটি গণকবরে শুয়ে আছেন ১৫ জন চিকিৎসা কর্মীl অ্যাম্বুলেন্সে গুলিবর্ষণ করে ইসরাইলি সৈন্যরা তাদের হত্যা করে। ঘটনাটি লক্ষ্য করে জনৈক ত্রাণ কর্মকর্তা বলেন, গাজায় ইসরাইল পরিচালিত যুদ্ধ যে কোনো সীমারেখা মানছে না তা এই ঘটনায় ফুটে উঠেছে| ফিলিস্তিনি এলাকায় জাতিসংঘের ‘অফিস ফর দা কো-অর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্সে’র প্রধান জোনাথন হুইট্টল বলেন, এটা দেখতে বেদনাদায়ক যে নিহত মেডিকেল কর্মীদের গায়ে তখনও তাদের মেডিকেলের পোশাক ছিল, হাতে ছিল গ্লাভস, জীবন রক্ষার কাজে নিয়োজিত থাকা অবস্থায় তারা নিহত হন। তিনি বলেন, অ্যাম্বুলেন্সগুলোকে একের পর এক গুলি করা হয়। গণকবর আবিষ্কৃত হওয়ার পর গাজা মিশন শেষে ফিরে এক ভিডিও কনফারেন্সে তিনি একথা বলেন।
উল্লেখ্য, ১৮ টি মৃতদেহের মধ্যে ৮ জন ছিলেন ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্টের সদস্য এবং একজন জাতিসংঘের কর্মী। জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেসও গত বুধবার এই হত্যাকাণ্ডে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক এক ব্রিফিংয়ে বলেন, গত ২৩ মার্চ গাজায় ইসরাইলি সৈন্য বাহিনী কর্তৃক একটি মেডিকেল ও ইমারজেন্সি গাড়িবহরে হামলা ও গুলি করে ১৫ জন মেডিকেল ও মানবাধিকার কর্মী হত্যায় মহাসচিব মর্মাহত।
ওসিএইচএ গত মঙ্গলবার বলেছে যে, প্রথম ত্রাণকর্মীদের প্রথম টিমটি ইসরাইলী হামলায় নিহত হয় গত ২৩ মার্চ এবং এরপর সহকর্মীদের খুঁজতে আসা অন্যান্য ইমারজেন্সি ও ত্রান কর্মীদের টিমগুলো হামলার শিকার হয় একের পর এক।
গাজা যুদ্ধবিরতির কয়েক সপ্তাহ পর ইসরাইল ১৮ মার্চ আবার বোমাবর্ষণ শুরু করে। হুইটল বলেন, গাজার ৬৪ শতাংশ এলাকা বাস্তুচ্যুতির বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে এবং যুদ্ধ বিরতির শেষ থেকে বাস্তুচুত হয়েছে দুই লাখ লোক।