ট্রাম্পের শুল্ক আরোপে এনএইচএসের ওষুধ সরবরাহ চ্যালেঞ্জের মুখে
ব্রিটিশ মন্ত্রীবর্গ এই বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন যে, সরকার সাপ্লাই চেইন আরো শক্তিশালী না করলে এনএইচএসের প্রায় ৮৫ শতাংশ ওষুধ পাওয়া ঝুঁকিপূর্ন হয়ে পড়তে পারে। তাদের মতে, অবনতিশীল ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে প্রস্তুতি না নিলে এধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ব্রিটেনের ওষুধ প্রস্তুতকারীরা অ্যান্টিবায়োটিকের মতো ওষুধগুলোর সরবরাহ নিশ্চিত করার বিষয়টিকে নিরাপত্তা ইস্যুর মতো গুরুত্ব প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন সরকারের প্রতি।
বিশ্বব্যাপী ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যাপক ট্যাক্স অর্থ্যা শুল্ক আরোপের ফলে ক্রমশ: এই খাতে উত্তেজনা বদ্ধির আশংকা করছেন তারা। জনৈক বিশেষজ্ঞ বলেন, যদি ওষুধপত্র ও চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন শুল্ক যুদ্ধের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে এনএইচএসকে ওষুধের জন্য আরো বেশী অর্থ পরিশোধ করতে হবে। ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওয়েস ট্রিটিংয়ের সাম্প্রতিক এক মন্তব্যের পর এই হুশিয়ারী বানী উচ্চারন করা হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কর্তৃক শুল্ক আরোপের ফলে যুক্তরাজ্যে ওষুধ সরবরাহ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
মি: ট্রিটিং আরো বলেন, প্রস্তুতকরন ও বিতরন চ্যালেঞ্জসমুহসহ অনেকগুলো বিষয় চলে আসে, যখন যুক্তরাজ্যের ওষুধ সরবরাহের বিষয়টি সামনে আসে। তিনি এই মর্মে সতর্ক করে দেন যে, শুল্ক আরোপ অপর এক স্তরের চ্যালেঞ্জ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন যে, বৈশ্বিক বাজারগুলোকে অস্থিরতায় নিমজ্জিতকারী বিপুল শুল্কারোপের ক্ষেত্রে তিনি বিরতি দেবেন না।
যদিও যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপ ওষুধ শিল্পকে এর বাইরে রেখেছে তা সত্বেও কিছু কিছু চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ফলে যুক্তরাষ্ট্রে রফতানির ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের প্রস্তুতকারকদের এখনো ১০ থেকে ২০ শতাংশ ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।