সৌদি-মার্কিন সম্পর্কে ফাটলের আশঙ্কা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার মধ্যপ্রাচ্য নীতির প্রতিবাদে আমেরিকাকে সহযোগিতা কমিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব। সৌদি গোয়েন্দা প্রধান প্রিন্স বন্দর বিন সুলতান হুমকি দিয়ে বলেছেন, আমেরিকাকে সহযোগিতা ইতিহাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনা হবে।
গত রোববার ইউরোপীয় কূটনীতিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেছেন, সিরিয়ায় হামলা না চালানোর মার্কিন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ওয়াশিংটনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখার বিষয়টি বিবেচনা করছে রিয়াদ।
সিরিয়ার বিদ্রোহীদের অর্থ, অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দেয়ার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনকারী বন্দর বিন সুলতান এমন হুমকিও দিয়েছেন, সিরিয়ার বিদ্রোহীদের প্রশিক্ষণ দেয়ার কাজে তিনি আর মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’কে সহযোগিতা করবেন না।
গত শুক্রবার সৌদি আরব জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সম্মানজনক অস্থায়ী সদস্যপদ গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায়। বন্দর বিন সুলতান এ ঘটনাকে ‘আমেরিকার জন্য একটি বার্তা’ বলে উল্লেখ করেছেন। সৌদি আরব নিরাপত্তা পরিষদের এই পদটি পাওয়ার জন্য বছরের পর বছর ধরে লবিং এবং মার্কিন প্রভাব কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছে।
গত সোমবার প্যারিসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি তার সৌদি সমকক্ষ সৌদ আল ফয়সালকে নিরাপত্তা পরিষদের পদ প্রত্যাখ্যানের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানান।
সিরিয়ার ওপর মার্কিন হামলার সিদ্ধান্ত বাতিল এবং ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে সৃষ্ট সমস্যা কূটনৈতিক উপায়ে সমাধানের মার্কিন সিদ্ধান্ত সৌদি আরবকে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ করেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
তবে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যারি হার্ফ সৌদি আরবের সঙ্গে তার দেশের সম্পর্কের অবনতির বিষয়টি স্বীকার করেননি। তিনি বলেছেন, রিয়াদের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক এত বেশি শক্তিশালী যে তাতে ফাটল ধরা অতো সহজ নয়।