যুক্তরাজ্যে ভুয়া হালাল চিকেন বিক্রির দায়ে ব্যবসায়ী অভিযুক্ত
যুক্তরাজ্যের কার্ডিফে এক খাদ্য সামগ্রী বিক্রেতাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে পন্য বিক্রয়ে প্রতারনা ও মার্কেটে অনিরাপদ খাবার বিক্রয়ের দায়ে। মার্থির টিডফিল ক্রাউন কোর্ট তাকে শাস্তি প্রদানের পূর্ব পর্যন্ত হেফাজতে রিমান্ডে রাখার নির্দেশ প্রদান করেছে।
বিচারক ভ্যানেসা ফ্রান্সিস বলেছেন, উক্ত পাইকারী খাদ্য বিক্রেতার ১০ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড হতে পারে। এই খাদ্য বিক্রেতার নাম হামিল মিয়া (৪৬)। তিনি কার্ডিফের বাসিন্দা। তিনি ইউনিভার্সেল ফুড হৌলসেইল লিমিটেড নামক প্রতিষ্ঠানের মালিক।
হালাল হিসেবে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে তিনি মুরগী বিক্রয় করছিলেন। এছাড়া বাজারে অনিরাপদ খাদ্য বিক্রিরও অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। মার্থির টিডফিল ক্রাউন কোর্ট জানতে পারে, হামিল মিয়ার কার্ডিফের বেসেমার রোডে অবস্থিত গোদাম থেকে মিথ্যাভাবে হালাল পরিচয়ে মুরগী বিক্রি করা হচ্ছে বিভিন্ন রেস্তোরাঁ ও টেকওয়েতে।
গত শুক্রবার তিন ঘন্টা বিবেচনা শেষে জনৈক জুরি দশ ধরণের প্রতারনা ও খাদ্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত অপরাধের দায়ে দোষী হিসেবে দেখতে পান হিল মিয়াকে। দুই সপ্তাহব্যাপী বিচারকালে জুরি জানতে পারেন যে, হামিল মিয়া নিজে সব ধরনের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করলেও তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করতে কোম্পানীসমূহের ধুম্রজাল সৃষ্টি করেন। জুরিকে আরো বলা হয়, টেকওয়ে ও রেস্তোরাঁগুলো বিশ্বাস করতো তারা বিভিন্ন প্রকার অনেকগুলো কোম্পানীর সাথে ব্যবসা করছে এবং বিশ্বাস করতো যে, তারা হালাল চিকেন অর্থ্যাৎ মুরগী ক্রয় করছে।
কিছু চিকেন হালাল হিসেবে ক্রয় করা হতো, তবে সেগুলোর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার মান ছিলো দুর্বল এবং গোদামে ক্রস দূষনের শিকার থাকায় কোনটি আসলে শ্রেনীকৃত তা বোঝার উপায় ছিলো না।
এছাড়া দীর্ঘসময় ধরে গোদামে কোন হালাল মাংস আসেনি হৌলসেলারের নিকট থেকে। অথচ রোস্তারাঁ ও টেকওয়েগুলোতে হালাল হিসেবে চিকেন সরবরাহ করা হচ্ছিল।
হামিল মিয়া দাবি করেন তিনি একাই ইউনিভার্সেল ফুড হৌলসেল লি: পরিচালনা করেন, যা প্রি-প্রোসেসড্ হালাল চিকেন ব্যবহার করে এবং অনসাইট প্রোসেসিংয়ের কাজটি করে থাকে তার বাল্যবন্ধু নোয়াফ রহমান ইউনিভার্সেল পোল্ট্রি লিমিটেডের মাধ্যমে।