এই সরকার দেশের নয় আওয়ামী লীগের : খালেদা জিয়া

Kaledaবিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, কাল থেকে মহাজোট সরকার বৈধ নয়। তিনি বলেন, বর্তমান সংবিধান ও শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন দেশে হবে না এবং হতে দেয়া হবে না। বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রেস ক্লাবে শিক্ষক-কর্মচারি ঐক্যপরিষদের অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, আপনি বলছেন, সংবিধান থেকে একচুলও নড়বেন না। আবার ক্ষমতায় আসবেন এই চিন্তা ভুলে যান। এই সংবিধান এবং আপনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না, হতে দেয়া হবে না।
বিরোধীদলীয় নেতা আরো বলেন, আপনারা বড়াই করেন, অনেক কাজ করেছেন। অনেক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। এত জনপ্রিয় হলে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দেন। খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের সরকার নয় বলে, তারা ক্ষমতায় এসে দেশে লুটপাট চালিয়েছে। দেশের সব সুবিধা নিয়েছে তাদের দলীয় লোক। কারণ তারা জনগণের নয় আওয়ামী লীগের সরকার।
তিনি অভিযোগ করেন, তারা নাগরিকদের স্বাভাবিক অধিকার পালনে বাধা দেয়। যত্রতত্র থেকে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। রিমান্ডে নিয়ে তাদের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে। এর নাম কি গণতন্ত্র? এমন প্রশ্ন রাখেন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, শুধু আমি নই, সব দলই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়। আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা তড়িঘড়ি করে সংবিধান সংশোধন করলেন। অথচ সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন ছিল না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আপনারাই আন্দোলন করেছিলেন। ১৭৩ দিন হরতাল দিয়েছিলেন, জ্বালাও-পোড়াও চালিয়েছিলেন, গানপাউডার দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করেছিলেন। খালেদা জিয়া বলেন, গণতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য তখন আমরা আপনাদের দাবি মেনে নিয়েছিলাম।
চিরস্থায়ীভাবে ক্মষতায় থাকার জন্য আওয়ামী লীগ সংবিধান সংশোধন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চিরদিন ক্ষমতায় থাকার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করলেন। কিন্তু সেই আশা পূরণ হবে না। বাকশাল গঠন করেছিলেন চিরস্থায়ীভাবে মতায় থাকার জন্য, কিন্তু থাকতে পারেননি। বিকেলে শিক্ষক-কর্মচারি ঐক্যজোটের সমাবেশ শুরু হয়।
দুপুরে শর্তসাপেক্ষে জাতীয় প্রেস কাব এলাকায় সমাবেশ করার অনুমতি দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এরপর শিক্ষক-কর্মচারি ঐক্যজোটের সভাপতি অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে শিক্ষক সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নাল আবদিন ফারুক, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু, আমানুল্লাহ আমান, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দীন খোকন, কেন্দ্রীয় ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি শফিউল আলম প্রধান ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button