লন্ডনে আব্দুল বাতিন ফয়সলের একক আলোকচিত্র প্রদর্শনী

Bishwaইব্রাহিম খলিল: বিলেত প্রবাসিদের হৃদয় কেড়েছে ফটো সাংবাদিক আব্দুল বাতিন ফয়সলের আলোকচিত্র। দীর্ঘ দিন ধরে দেশের বাইরে থাকা প্রবাসিরা বিমোহিত হয়েছেন দুর্লভ এসব ছবি দেখে। প্রদর্শনীতে আগত অতিথিরা বলেছেন এক একটি ছবি সিলেটের এক একটি ইতিহাসের সাক্ষ্য দিচ্ছে। সম্ভাবনাময় ও প্রাকৃতিক সুন্দর্যে ভরপুর সিলেট অঞ্চলকে একসাথে দেখার এমন সুযোগ আর হয়নি। আব্দুল বাতিন ফয়সল সেই অবারিত সুযোগ করে দিয়েছেন। দৈনিক সিলেটের ডাকের প্রধান আলোকচিত্রী আব্দুল বাতিন ফয়সলের আলোকচিত্র প্রদর্শনী ‘শ্যামলিমা সিলেট’ প্রদর্শনে এসে উপস্থিত সুধিজনেরা এসব মন্তব্য করেন। গত মঙ্গলবার ইস্ট লন্ডনের মন্টিফিউরী সেন্টারে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। সিলেটকে নিয়ে দেশের বাইরে বৃহৎ আকারে এমন প্রদর্শনী এই প্রথম।
সাংবাদিক, লেখক, কমিউনিটি নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের প্রবাসিদের নিয়ে বিকেল ৪টায়  প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন টাওয়ার হ্যামটেস কাউন্সিলের জনপ্রিয় নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমান। অনুষ্ঠানে মেয়র বলেন, সম্ভাবনাময় এবং সমৃদ্ধ সিলেটকে ফুটিয়ে তুলেছেন আব্দুল বাতিন ফয়সল। সিলেট যে এতো সমৃদ্ধ ও সুন্দর তা এই প্রদর্শনীতে এসে অনেকেই বুঝতে পারছেন। এখানে এসে আমি নতুন এক বাংলাদেশ দেখছি। প্রদর্শনীর অনেক ছবি সত্যিকার অথের্ই অসাধারন। মেয়র তার নিজ জন্মভুমি বালাগঞ্জের স্মৃতিচারন করে বলেন, অনেক বছর হয় দেশে যাওয়া হয়নি। গ্রামের ধান ক্ষেত, হাওর, হাঁস এবং সবুজ গাছগাছালি বার বার স্মৃতিতে উকিঁ মারে। মেধাবী ফটো সাংবাদিক আব্দুল বাতিন ফয়সলের ক্যামেরায় এসব চিত্র ফুটে এসেছে। লন্ডনে বসে এসব চিত্র দেখতে পেরে আমরা দারুন ভাবে পরিতৃপ্ত।
আলোকচিত্র প্রদর্শনী বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক ও এক্সেলসিয়র ফাইভ স্টার হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাঈদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব ও বাংলা টিভির চীফ রিপোর্টার ইব্রাহিম খলিলের পরিচালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ও চ্যানেল এস’র চীফ রিপোর্টার মুহাম্মদ জুবায়ের, যুগ্ম আহবায়ক ও সাপ্তাহিক নতুন দিনের নির্বাহী স¤পাদক তাইছির মাহমুদ, যুগ্ম আহবায়ক ও সানরাইজ টুডের সম্পাদক এনাম চৌধুরী, সাপ্তাহিক বাংলা মিরর স¤পাদক আব্দুল করিম গনি, সাপ্তাহিক জনমতের বার্তা স¤পাদক মোসলেহ উদ্দিন আহমদ, দর্পন স¤পাদক রহমত আলী, ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের ডাইরেক্টর ও জেএমজি কার্গোর স্বত্তাধিকারী মনির আহমদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে নির্বাহী মেয়র লুতফুর রহমান আরো বলেন, এই প্রদর্শনীতে সিলেটের অনেক কিছু উঠে আসা প্রমান  করে আব্দুল বাতিন ফয়সল একজন পরিশ্রমী ফটো সাংবাদিক। টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলে  এসব প্রদর্শনীর আয়োজন করে দেশের নান্দনিক চিত্র প্রবাসী নতুন  প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা যায়।
প্রর্দশনীতে সিলেটের ইতিহাস-ঐতিহ্য, দর্শনীয় স্থান, পর্যটন সম্ভাবনাসহ বিভিন্ন বিষয়ের ৬০টি আলোকচিত্র প্রদর্শিত হয়। বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলে এই প্রদর্শনী। বিপুল সংখ্যক প্রবাসী দর্শনার্থীরা শ্যামলিমা সিলেট ঘুরে ঘুরে দেখেন ।  বিশিষ্ট ব্যক্তি বর্গের মধ্যে প্রদর্শনীতে আসেন লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি নবাব উদ্দিন, সাপ্তাহিক লন্ডন বাংলা স¤পাদক ও কমিউনিটি নেতা কে এম আবু তাহের চৌধুরী, সাপ্তাহিক জনমতের প্রধান স¤পাদক সৈয়দ নাহাস পাশা, টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের মিডিয়া অফিসার নজরুল ইসলাম বাসন, সাংবাদিক ইসহাক কাজল, সাপ্তাহিক বাংলা টাইমসের নির্বাহী স¤পাদক সাঈম চৌধুরী, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মিসবাহ জামাল, চ্যানেল এস টেলিভিশনের জনপ্রিয় প্রেজেন্টার আবু সাঈদ আনসারী, ইউএনবির যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম, সিলেট সদর এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান আজিজ চৌধুরী, লেখক রশিদ জামিল,  সাবেক কাউন্সিলার মো: শহিদ আলী, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ সিরাজুল ইসলাম শাহিন, কানাইঘাট এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি রফিক আহমদ রফিক, সাপ্তাহিক লন্ডন বাংলার বিশেষ প্রতিনিধি কলামিস্ট আকবর হোসেন, সাপ্তাহিক ইউরো বাংলার নির্বাহী সম্পাদক আব্দুল মোনিম ক্যারল, ইক্বরা ইন্সিটিটিউটের শিক্ষক ও কমিউনিটি নেতা এফ কে এম শাহজাহান, সাপ্তাহিক নতুন দিনের সহকারী বার্তা স¤পাদক তানজির আহমদ রাসেল, বাংলা টিভির স্টাফ রিপোর্টার রেজাউল করিম মৃধা, চ্যানেল এস’র প্রধান ক্যামেরাপার্সন সুভাস দাস, চ্যানেল আই ইউরোপের স্টাফ রিপোর্টার খিজির হায়াত খান কাউসার, এটিএন বাংলার স্টাফ রিপোর্টার রাকিবুল ইসলাম, চ্যানেল নাইন ইউকের স্টাফ রিপোর্টার সামিউল হাসান চয়ন, যুক্তরাজ্য যুবলীগের সাধারন স¤পাদক সেলিম আহমদ খান, গহরপুর আব্দুল মতিন মহিলা একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল মতিন মাখন, সাইক্লোন কেন্দ্রীয় সংসদ বাংলাদেশের প্রাক্তন সভাপতি জামান খালেদ, কমিউনিটি নেতা কাজী মাসুদ, ইকবাল বাহার সুহেল, সাংস্কৃতিক কর্মী আমিনা আলী,  মুক্তার আহমদ মিজান, হুমায়ুন কবির, আলমগীর কবির,  শেখ আব্দুল মোক্তাদির ইকবাল, রওশন আরা কবির, মোমিনা চৌধুরী ও রোজিনা ইকবাল প্রমুখ।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button