সমাবেশের নামে বিশৃঙ্খলা হলে ফৌজদারী আইনে ব্যবস্থা : ডিএমপি কমিশনার
শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে বিএনপি সমাবেশ করবে এমনটা প্রত্যাশা করে ডিএমপি কমিশনার বেনজীর আহমেদ বলেছেন, সমাবেশ করার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কেউ ফৌজদারি কার্যবিধি আইন লঙ্ঘন করে বিশৃঙ্খলা ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসের কাজে লিপ্ত হলে তাকে আইনে আওতায় আনা হবে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। ঢাকা বাসীর নিরাপত্তার জন্য সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এ মাসের শুরুতে দেশে একটা মারাত্মক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। যাতে দেশে সংঘাতের আশঙ্কা করা হয়। এরমধ্যে বিএনপি শুক্রবারে সমাবেশ করার জন্য তিনটি স্থানে মহানগর পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন করে। সমাবেশ নিয়ে উস্কানীমূলক রাজনৈতিক বক্তব্যের কারণে জনগনের মধ্যে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। দা, কুড়াল ও বল্লম নিয়েও সমাবেশে উপস্থিতির কথা বলা হয়েছিল। এ কারণে নগরবাসীর জানমালের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ঢাকায় সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এর মধ্যেও শর্তসাপেক্ষে কয়েকটি সভা-সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়। সেগুলো শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে এবং পরিবেশও ভালো ছিল। এসব সমাবেশে নেতৃবৃন্দ উস্কানীমূলক কথা থেকে বেরিয়ে এসে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের কথা বললে মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসে। আতঙ্ক কেটে যায় অনেকটা। বিএনপি তাদের অবস্থান থেকে ফিরে এসে তারা শান্তিপূর্ণ সমাবেশের প্রতিশ্রুতি দেয়। এ সব বিবেচনা করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের সমাবেশ করার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমাদের বিশ্বাস বিএনপি তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবেন এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই শুক্রবার তারা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করবেন। আওয়ামী লীগের সমাবেশের অনুমতির ব্যাপারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, আওয়ামী লীগ এখনো সভা-সামাবেশের অনুমতি চায়নি। যদি চায় তখন তাদের বিবেচনা করা হবে। তারা প্রথমে একবার সমাবেশের অনুমতি চেয়েছিলো কিন্তু পরবর্তীতে তারা নিজেরাই তা বাতিল করে।
নিরাপত্তার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজধানীবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই। সব ধরনের নাশকতা এড়াতে আমাদের সর্বোচ্চ ব্যবস্থা থাকবে। আমি বিশ্বাস করি আমাদের রাজনীতিবিদরা দেশপ্রেমিক। জনগনের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তারা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করবেন।