
২৫ অক্টোবরের কর্মসুচীকে কেন্দ্র করে ৮ জন নিহত এবং ৫৬২ আহত হয়েছেন। ১৮ দল ও আওয়ামী লীগের পাল্টা-পাল্টি কর্মসূচি চলাকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এতে কক্সবাজার, নীলফামারি, সাতক্ষীরা ও চাঁদপুরে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কয়েকশ নেতাকর্মী। নোয়াখালীতে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অগ্নিসযোগ করা হয়েছে। কক্সবাজারের চকরিয়ায় পুলিশ-বিজিবি’র সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে ৩ জন মারা গেছেন। চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে বিএনপি-আওয়ামী লীগ ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে আর তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ঘটনার পরপরই হাসপাতালে একজন মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকায় নেয়ার পথে আরও দুই জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় অন্তত ২৫ জন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারশেল ও রাবারবুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ। স্থানীয় এমপি হারুনুর রশিদ এক বিবৃতিতে, ফরিদগঞ্জে বিএনপি’র শান্তিপুর্ণ মিছিলে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের যৌথ হামলায় বিএনপি ৩ কর্মী হত্যার প্রতিবাদে শুক্রবার ফরিদগঞ্জ উপজেলায় সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক হরতাল আহ্বান করেছেন। তিনি বিএনপি’র শান্তিপূর্ণ মিছিলে এই বর্বরোচিত হামলা ও নির্মমভাবে গুলি বর্ষণ করে শতাধিক নেতা-কর্মীকে আহত করায় তীব্র নিন্দা জানান। তিনি বিএনপি’র নেতা-কর্মীদের ধৈর্য ধারণ করা ও শান্ত থাকার আহ্বান জানান। সংঘর্ষে নীলফামারিতেও একজনের মৃত্যু হয়েছে। সাতক্ষীরায় এক কর্মীর মারা গেছেন বলে দাবি করেছে বিএনপি। যদিও পুলিশ জানিয়েছে হার্ট এটাকে তিনি মারা যান। পাল্টাপাল্টি সমাবেশকে কেন্দ্র করে ১৮ দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংষর্ঘ হয়েছে বিভিন্ন জেলায়। সংঘর্ষে কয়েকশ নেতাকর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।