প্রধানমন্ত্রীর ফোন : ১৪ দলের শীর্ষ নেতারা বিভক্ত
বিরোধী দলীয়নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রীর টেলিফোন করা নিয়ে দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়েছেন ১৪ দলের শীর্ষ নেতারা।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য দফতরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, শনিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলের নেতা বেগম খালেদা জিয়াকে ফোন করে কথা বলবেন।
তিনি বলেন, আমি দায়িত্ব নিয়েই বলতে চাই, সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভা শেষে প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়াকে ফোন দেবেন।
১৪ দলের মুখপাত্র আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বিরোধী দলের নেতাকে টেলিফোন করা শেখ হাসিনার ইচ্ছা। তিনি কখন টেলিফোন করবেন, তা তিনিই ঠিক করবেন।
শনিবার দুপুরে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৪ দলের বৈঠকে অংশ নিয়ে ওয়ার্কাস পার্টির নেতা ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের নেতারা এমন পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিলে সমন্বয়হীনতার প্রকাশ ঘটবে।
১৪ দলের বৈঠকের পর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, চাপের মুখে বিরোধী দলীয় নেতাকে প্রধানমন্ত্রীর ফোন দেয়া ঠিক হবে না।
তিনি সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বক্তব্যকে তার ব্যক্তিগত বিষয় উল্লেখ করে বলেন, দায়িত্বশীল ব্যক্তি হয়ে তার এমন বক্তব্য দেয়া ঠিক হবে না।
এদিকে শনিবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভনেত্রীর ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৪ দলের বৈঠকে বিরোধী দলের নেতাকে প্রধানমন্ত্রীর ফোনের বিষয় নিয়ে নেতাদের এধরনের বক্তব্যের চরম সমালোচনা করেছেন বৈঠকে অংশ নেয়া নেতারা।
১৪ দলের শরিক নূরুর রহমান সেলিম বলেন, বিরোধী দলের আল্টিমেটামের মুখে প্রধানমন্ত্রীর ফোন দেয়া ঠিক হবে না। এটা একপ্রকার নৈতিক পরাজয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে বিরোধী দলের জনসভার আগেই তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু জানিয়েছিলেন, আলোচনার জন্য বিরোধীদলীয় নেতাকে টেলিফোন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানের পরও শুক্রবারের জনসভায় বিএনপি চেয়ারপারসন তার বক্তব্যে শনিবারের মধ্যে আলোচনার উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তা না হলে রবিবার থেকে তিন দিন হরতালের ঘোষণা দেন তিনি।