হরতাল দিয়ে সংলাপ হবে না : ১৪ দল

তোফায়েল আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছা রয়েছে। তবে চাপের মুখে কোনো আলোচনা হতে পারে না। আলোচনার একটা সম্ভাবনা দেখা দিলেই বিরোধী দল আলটিমেটাম দিয়ে সে পথ বন্ধ করে দেয়। এবারো হরতাল আর আলটিমেটাম দিয়ে সংলাপ ও টেলিফোনের পরিবেশ খালেদা জিয়া নস্যাৎ করেছেন।
তিনি বলেন, মে মাসে প্রধানমন্ত্রীর আলোচনায় বসার প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ৩ মে বিরোধীদলীয় নেতা আলটিমেটাম দিয়েছিলেন। এবারো প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য দেশে-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। সংবিধানসম্মতভাবে একটি সর্বদলীয় সরকার গঠনের কথা বলেছিলেন। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে আলোচনায় বসলে চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনের পথ সুগম হতো। তা না করে বিরোধীদলীয় নেতা একটি অবাস্তব প্রস্তাব দিলেন।
তোফায়েল বলেন, সংবিধানের ৫৭ (৩) অনুচ্ছেদে বলা আছে, একজন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন। সংবিধানের কোথাও নেই নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারে না। সাংবিধানিকভাবে গঠিত সরকারকে অবৈধ ঘোষণা করে বিরোধীদলীয় নেতা কাকে ক্ষমতায় আনতে চান?
তিনি বলেন, বিরোধী দলের নেতা বলেছেন সংবিধান সামান্য সংশোধন করতে হবে। তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবেন না। তাহলে কি যুদ্ধাপরাধের বিচার করছে সে জন্য? ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাসহ ২১ বার হত্যার চেষ্টা করে তাকে হত্যা করা যায়নি বলে? সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে বিরোধীদলীয় নেতা কলুষিত করেছেন উল্লেখ করে তোফায়েল বলেন, ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দাঁড়িয়ে যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তির দাবি করে শিখা চিরন্তনের চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং এই উদ্যানকে কলঙ্কিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রীকে আলটিমেটাম দেয়ার অধিকার খালেদা জিয়ার নেই মন্তব্য করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আমরা নির্বাচিত। সংবিধান আমাদেরকে ক্ষমতায় থাকার অধিকার দিয়েছে। আলটিমেটাম দেয়ার আপনি কে? এসব বন্ধ করে সংলাপে আসুন।