২০০২ সাল থেকে আমেরিকার গোপন নজরদারিতে মার্কেল
জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের মোবাইলফোনে ২০০২ সাল থেকে আড়ি পাতছে আমেরিকা। জার্মানির দার স্পাইগেল ম্যাগাজিন এ খবর জানিয়েছে।
ম্যাগাজিনটির দাবি, মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা থেকে পাওয়া গোপন নথিতে দেখা গেছে, মার্কেল চ্যান্সেলর হওয়ার আগেই ২০০২ সাল থেকে তার মোবাইলে আড়ি পেতেছে আমেরিকা। ২০১৩ সালেও তার মোবাইল গোপন নজরদারির তালিকায় ছিল।
তবে, মার্কেলের মোবাইলে কী ধরনের নজরদারি করা হয়েছে তা গোপন নথিতে স্পষ্ট করে উল্লেখ নেই বলে দার স্পাইগেল জানিয়েছে। এ ব্যাপারে আলোচনার জন্য জার্মান গোয়েন্দা ওয়াশিংটন গিয়েছেন।
শুক্রবার ফ্রান্স ও জার্মানি জানিয়েছে, চলতি বছরের মধ্যেই তারা মার্কিন গোপন গোয়েন্দা কর্মসূচি বন্ধে আমেরিকার সঙ্গে একটি চুক্তিতে আসতে চায়।
এদিকে, মেরকেলের ফোন ছাড়াও আমেরিকা ফ্রান্স ও আমেরিকার লাখ লাখ নাগরিকের ফোনে আড়ি পেতেছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।
দার স্পাইগেলের পাওয়া নথিতে দেখা গেছে, এনএসএ ইউরোপিয়ান দেশগুলোর ওপরও আড়ি পেতেছে।
বার্লিনের মার্কিন দূতাবাসে অবস্থিত ‘স্পেশ্যাল কালেকশন সার্ভিস’ নামে একটি বিশেষ ইউনিট জার্মানির রাজধানীর সরকারি বাসভবনগুলোর ফোন কলের ওপর নজরদারি করতো বলে দার স্পেইগাল জানিয়েছে।
বিশ্বব্যাপী আমেরিকার এমন ৮০টি কেন্দ্র আছে বলে দার স্পেইগাল জানায়। এর মধ্যে ইউরোপিয়ান দেশের শহরগুলোই আছে ১৯টি কেন্দ্র।
এদিকে, এনএসএ’র গোপন নজরদারির প্রতিবাদে খোদ ওয়াশিংটনে বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের অনেককেই সাবেক সিআইএ কর্মকর্তা অ্যাডওয়ার্ড স্নোডেনকে সমর্থন জানিয়ে ব্যানার বহন করতে দেখা গেছে।