দুই নেত্রীর উত্তপ্ত সেই ফোনালাপ (ভিডিও)
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিরোধী দলীয় নেতার ঐতিহাসিক সেই ফোলানাপ নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। আসলে কী কথা হয়েছিল তাদের মধ্যে? এ নিয়ে আগ্রহের কমতি ছিল না। সোমবার তথ্যমন্ত্রী দুই নেত্রীর কথোপকথন জনসম্মুখে প্রকাশের কথা বলার পর এ আগ্রহ হয়তো আরেকটু বেড়েছে সবার মনে। অবশেষে সেই আলোচিত কথোপকথনের রেকর্ডটি প্রকাশ করেছে বে-সরকারি টেলিভিশন চ্যালেন একাত্তর টিভি।
প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেতা সেই ফোনালাপটি পাঠকদের জন্যে তুলে ধরা হলো:
খালেদা- হ্যালো, হ্যালো।
হাসিনা- হ্যালো। কেমন আছেন?
খালেদা- ভালো।
হাসিনা- দুপুর থেকে ফোন করছি।
খালেদা- দুপুরে কোন ফোন আসেনি।
হাসিনা- ফোন করেছি তো।
খালেদা- কথা সত্য নয়। দীর্ঘদিন ধরেই টেলিফোনটি বিকল। দেশ চালান, সব খবর রাখেন, এ খবর রাখেন না। লোক পাঠান।
হাসিনা- আপনি তো জানেন, রেড ফোন বিকল থাকে না।
খালেদা- ফোন বিকল, এটাই সত্য।
হাসিনা- আমি ফোন করেছি।
খালেদা- দীর্ঘদিন ধরে ফোন ডেড। মৃত ফোন কি হঠাৎ জেগে উঠবে?
হাসিনা- যে কোন কারণে ফোন ধরতে পারেন নি।
খালেদা- না ফোন বাজেনি। আমি ফোনের কাছেই থাকি। ফোন বাজলে না ধরার কথা নয়।
হাসিনা- ফোন বেজেছে, ধরেন নি। আমি আগামীকাল দেখব।
খালেদা- …
হাসিনা- আমি ফোন করলাম। ২৮ তারিখ (২৮শে অক্টোবর) আপনাকে দাওয়াত দিচ্ছি। জানেন তো, আমরা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলছি।
খালেদা- দাওয়াত কেন দিচ্ছেন?
হাসিনা- আমার সঙ্গে রাতের খাবার খাবেন।
খালেদা- ২৮ তারিখ আমি যেতে পারব না। ওই দিন হরতাল আছে। হরতাল থাকলে আমি বের হই না।
হাসিনা- আপনি বলেছেন, দুইদিনের মধ্যে…
খালেদা- বলেছি। আমার আন্তরিকতা আছে। আমি একা যাব না।
হাসিনা- যাকে ইচ্ছা আনেন, যতজন ইচ্ছা আনেন।
খালেদা- যতজন না। আমার দলের প্রয়োজনীয় নেতাদের নেব।
হাসিনা- দেশ জাতির স্বার্থে হরতাল প্রত্যাহার করুন।
খালেদা- হরতাল প্রত্যাহার করতে পারব না।
হাসিনা- মানুষ হত্যা বন্ধ করুন।
খালেদা- মানুষ হত্যা আপনারা করছেন। আপনারা গান পাউডার দিয়ে বাস পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করেছেন। লগি বৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যা করেছেন। এসব হত্যার নির্দেশ আপনার মুখ থেকেই বেরিয়েছে। এর দায় আপনাদের।
হাসিনা- জনগনের স্বার্থে হরতাল প্রত্যাহার করুন।
খালেদা- জনগনের স্বার্থে হরতাল দিয়েছি।
হাসিনা- আমরা আলোচনা করতে চাই।
খালেদা- আপনার মন্ত্রীরা তো বলেছেন, আলোচনা হবে না। আলোচনা হতে পারে, হরতালের পর।
হাসিনা- আপনি তো দুইদিনের কথা বলেছিলেন।
খালেদা- আপনি একদিন পর ফোন করেছেন। তখন সুযোগ ছিল না।
হাসিনা- আমি তো ব্যস্ত।
খালেদা- আপনার মতো অত ব্যস্ত না হলেও আমরাও ব্যস্ত।
হাসিনা- ….
খালেদা- কাল আমাদের সমাবেশের এত দেরি করে অনুমতি দিলেন কেন? অনুমতি দিলেন মাইক ব্যবহারের অনুমতি দিলেন না কেন? লোকজন আমাদের বক্তব্য শুনতে পায়নি। অতীতে আপনাদের তো এমন করিনি।
হাসিনা- আমি বলেছি, আলোচনার কথা।
খালেদা- সমাবেশে মাইকের অনুমতি কেন দিলেন না?
হাসিনা- অনুমতি তো দিয়েছি।
খালেদা- আমরা সমাবেশ করতে গেলে আপনারা ১৪৪ ধারা জারি করেন। দেশে কি ইমার্জেন্সি জারি হয়েছে। দেশে কি যুদ্ধাবস্থা তৈরি হয়েছে।
হাসিনা- এ ব্যাপারে কথা বলতে চাই না।
খালেদা- কথা তো আপনাকে বলতে হবে। মিটিং করতে চাইলে মাইকের অনুমতি দেবেন না। আপনারা আগে মিটিং করেননি।
হাসিনা- আমাদের গ্রেনেড হামলার কথা মনে আছে।
খালেদা- আমরা নই, আপনারা করিয়েছেন গ্রেনেড হামলা।
হাসিনা- আপনারাও কিন্তু রাত ১১টায় অনুমতি দিয়েছিলেন।
খালেদা- আপনার দলের নেতারা ভেন্যু পরিবর্তন করেছিল।
হাসিনা- আপনি মুক্তাঙ্গনে অনুমতি…
খালেদা- অনুমতি দিয়েছি, রেকর্ড আছে। সে রেকর্ড দেখেন না।
হাসিনা- ….
খালেদা- এখন বলছি, সত্যিকার আন্তরিক হন। তবে ২৯ তারিখের পর বলেন, আমি যাব।
হাসিনা- আমি ঝগড়া করতে চাই না। আপনি একতরফা কথা বলছেন।
খালেদা- কথা আপনিও বলছেন।
হাসিনা- হরতাল প্রত্যাহার করেন। আসেন।
খালেদা- হরতালের পর।
হাসিনা- হরতালের মাধ্যমে মানুষ খুন করছেন।
খালেদা- আপনারা মানুষ খুন করছেন। আপনার ছাত্রলীগ, যুবলীগ মানুষ খুন করছে।
হাসিনা- খুনের রাজনীতি আমরা করি না।
খালেদা- খুনের রাজনীতি আপনার পুরনো অভ্যোস। আপনাদের পুরনো অভ্যোস।
১৯৭১ এর পরও ক্ষমতায় থাকাকালে মানুষ খুন করেছেন। সেটা কি ভুলে গেছেন।
হাসিনা- ৭১-এ মানুষ খুন করেছি?
খালেদা- ৭১ এর পর ক্ষমতায় থাকাকালে মানুষ খুন করেছেন।
হাসিনা- যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করছেন।
খালেদা- সত্যিকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করলে আমরা সমর্থন দিতাম। কিন্তু আপনি তা করছেন না। আপনার দলেও অনেক যুদ্ধাপরাধী আছে।
হাসিনা- সত্যিকার বিচার হচ্ছে।
খালেদা- আপনি তো প্রধানমন্ত্রী নন। আপনি তো দলীয় প্রধানমন্ত্রী। আমার সঙ্গে যে আচরণ করেছেন। আমার দলীয় কার্যালয়ে যে আচরণ করেছেন।
হাসিনা- আপনি জবাব দিতে পারেন। অসাংবিধানিক সরকার…
খালেদা- আপনারাই অসাংবিধানিক সরকারকে স্বাগত জানান। আপনিই এরশাদ ক্ষমতা দখলের পর বলেছিলেন, আই এ্যাম নট আনহ্যাপি।
হাসিনা- বলিনি।
খালেদা- আপনি মঈন উদ্দিন-ফখরুদ্দিনকে আপনাদের আন্দোলনের ফসল বলেছেন।
হাসিনা- না।
খালেদা- আপনি তাদের শপথ অনুষ্ঠানে গিয়ে বলেছেন, আপনাদের আন্দোলনের ফসল। মানুষ সে কথা ভুলেনি।
হাসিনা- আপনি ৯জনকে ডিঙিয়ে মঈন উদ্দিনকে প্রধান বানিয়েছিলেন।
খালেদা- আপনি অনেককে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন। এ কথা বইলেন না। অনেককে বাড়ি পাঠিয়েছেন। মঈনউদ্দিন-ফখরুদ্দিন সাংবিধানিক সরকার ছিল না। কিন্তু আপনি তাদের শপথ অনুষ্ঠানে গেলেন। সেদিন তো আমরা দুই দলই ক্ষমতার বাইরে ছিলাম। আমি যাইনি, আপনি শপথ অনুষ্ঠানে গেছেন।
হাসিনা- আমি আগুনে বসে হাসি পুষ্পের হাসি। আমার বাবা ভাই মারা গিয়েছিল।
খালেদা- আপনি অতীতের দিকে নয়, সামনের দিকে আগান। সৎ উদ্দেশ্য থাকলে সামনে আগান।
হাসিনা- আপনারা ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে হত্যাকাণ্ড করেছেন।
খালেদা- হত্যা আমরা করিনি। আপনি যতদিন থাকবেন, ততই আমাদের লাভ। আপনি যতই অশ্লীল কথা বলবেন ততই আমাদের লাভ।
হাসিনা- ১৫ই আগস্ট আপনি কেন কেক কাটেন?
খালেদা- ওইদিন কি কোন মানুষ জন্ম নেবে না। আপনারা জিয়াউর রহমানের কথা বলেন। জিয়াউর রহমান তো আপনাদের আওয়ামী লীগকে জন্ম দিয়েছেন। আপনারা তো বাকশাল ছিলেন।
হাসিনা- …
খালেদা- এ রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসেন। আসুন নতুন ধারার রাজনীতি শুরু করি।
হাসিনা- আপনি হরতাল প্রত্যাহার করবেন না?
খালেদা- হরতাল প্রত্যাহার করতে পারবো না। এটা ১৮ দলের সিদ্ধান্তে ঘোষণা করা হয়েছে।
হাসিনা- আপনি ১৮ দলকে ডেকে সিদ্ধান্ত নিন।
খালেদা- তাদের তো পুলিশ তাড়াচ্ছে।
হাসিনা- পুলিশ ধরবে না। বলে দেন।
খালেদা- পুলিশ কি আমাদের কথায় চলে?
হাসিনা- বোমা বাস্ট হবে…
খালেদা- বোমা বাস্ট আপনারা করেন। আপনি ২৯ তারিখের পর বলেন, আমরা আসবো।
হাসিনা- আপনি দুই দিনের আলটিমেটাম দিলেন। এর মধ্যেই তো ফোন করলাম।
খালেদা- বলেছি তো, আপনি দেরি করেছেন। আমরা বলেছি, সংলাপ ও আন্দোলন একসঙ্গে চলবে।
হাসিনা- আপনারা কি ক্যামরায় …
খালেদা- আমাদের এখানে ক্যামেরা নেই। আমরা ক্যামেরা ছাড়া কথা বলছি। অফিসে থাকলেই বরং ক্যামেরা থাকতো। আপনারা সম্ভবত ক্যামেরাই দেখাচ্ছেন…।
হাসিনা- ফোন করেছি। ফোন তো ঠিক আছে।
খালেদা- লোক পাঠান।
হাসিনা- ১০-১২ বার ফোন করেছি।
খালেদা- আমরা শুনিনি, আপনি কেবল শুনেছেন।
হাসিনা- আমি কিভাবে শুনবো। আমার তো এক কান নষ্ট। ফোন আমি নিজেই করেছি।
খালেদা- ডেড ফোনে কথা বলেছেন।
হাসিনা- রিং হচ্ছিলো।
খালেদা- ঠিক নয়। আমরা অনেকবার লোক ডেকেছি। আপনার লোকজন আমাদের তো মানুষই মনে করে না।
হাসিনা- ফোন দিয়েছি।
খালেদা- আপনি চাইলে মোবাইলে কথা বলতে পারতেন। মৃত কে তো মৃত বলতেই হবে।
হাসিনা- (…নাম্বার বলে যান)
খালেদা- আপনার মুখস্ত থাকতেই পারে।
হাসিনা- কাল খবর নেব।
খালেদা- গুলশান এক্সচেঞ্জের লোক মিথ্যা বলেছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। সে সত্য কথা বলেনি।
হাসিনা- আলাদা এক্সচেঞ্জ।
খালেদা- টেলিভিশনে স্ক্রল দেখাচ্ছে…
হাসিনা- গণভবনে আমরা কথা বলছি, এখানে কোন টেলিভিশন নেই।
খালেদা- তাহলে কেন এটা বলা হচ্ছে…
হাসিনা- তাহলে কি কথা বলবেন না।
খালেদা- আমি আধাঘন্টা ধরেই বসে আছি। আপনার ফোন আসবে এ জন্য। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি। কথা বলেছি। এখন কেন কথা বলবো না।
হাসিনা- ২৮ তারিখে আসেন।
খালেদা- সত্যিই আন্তরিক হলে ২৯ তারিখের পর বলেন।
হাসিনা- কাল বলেছেন…
খালেদা- আমরা তো হরতাল দিয়েছি।
হাসিনা- আমি তো ফোন করেছি।
খালেদা- আগে কেন করেননি। পরে করছেন কেন?
হাসিনা- আমি দুঃখিত।
খালেদা- বাংলাদেশের মানুষ…
হাসিনা- আপনি দুইদিনের কথা বলেছেন…
খালেদা- বলেছি, কিন্তু হরতালও দিয়েছি।
হাসিনা- কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।
খালেদা- ১৮দলকে এখন কই পাবো।
হাসিনা- হুকুম করেন, পাবেন।
খালেদা- কই পাব? তারা তো …
হাসিনা- মিথ্যা বলছেন।
খালেদা- আপনি কাল রাতে ফোন করতে পারতেন।
হাসিনা- আমি রাত জাগি না। আমি সকালে নামাজ পড়ি।
খালেদা- নামাজ পড়েন। কোরআন পড়েন। নামাজিদের গুলি করেন হত্যা সবই করেন।
হাসিনা- আমি নামাজ পড়ি, নিয়মিত কোরআন পড়ি।
খালেদা- আপনি ২৯ তারিখের পর করেন।
হাসিনা- আপনি আপনার বক্তব্য থেকে সরে যাচ্ছেন।
খালেদা- আমার দলের নেতারা এখন নেই। ১৮দল নেই। আমি একা কিভাবে সিদ্ধান্ত নেব।
হাসিনা- হুকুম দেন। এটা হয় নাকি।
খালেদা- আপনার ডিবি-এসবি তো আমাদের ঘেরাও করে রেখেছে, কিভাবে আসবে।
হাসিনা- আপনারা তো দা-কুড়াল নিয়ে মানুষ হত্যার কথা বলছেন।
খালেদা- বিশ্বজিৎকে আপনারা হত্যা করেছেন।
হাসিনা- তারা আগেই ছাত্রলীগ থেকে বহিস্কৃত ছিল।
খালেদা- আমরা এ রকম আরো উদাহারণ দিতে পারব। আপনারা আমাদের বক্তব্য টেলিভিশনে প্রচার করতে দেননি। নিরিহ মানুষকে গ্রেপ্তার করেছেন। আল্লাহ আপনাদের বিচার করবে।
হাসিনা- ধরা পড়ার পর দেখা গেছে। তাদের বাবা-মা জামায়াত-বিএনপি করে।
খালেদা- না তারা ছাত্রলীগই করে। আমি আপনাকে অনুরোধ করি, সদ্বিচ্ছা থাকলে ২৯ তারিখের পর ডাকেন।
হাসিনা- এ কথাটি রাখেন।
খালেদা- ২৯ তারিখের পর ডাকেন। অন্য কর্মসূচিতে যাওয়ার আগে। আমরা কর্মসূচি দেবো না।
হাসিনা- দিনের কথা বলেছিলেন।
খালেদা- ৩০ তারিখ হলে আমি রাজি আছি।
হাসিনা- আপনার তো ভারপ্রাপ্ত আছে। যদিও প্রটোকলে মিলে না। তারপরও আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ কথা বলবেন। তাদের মধ্যে আলোচনা হতে পারে…
খালেদা- কাল রাতে কেন ফোন দিলেন না। তাহলে আমি দলের নেতাদের সঙ্গে মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিতে পারতাম। আমি তো ৭টায় অফিসে গিয়েছিলাম। ফোন করলেই পেয়ে যেতেন।
হাসিনা- তখন তো রাত।
খালেদা- ৭টা রাত নয় সন্ধ্যা।
হাসিনা- আমার তো নেতাদের সঙ্গে কথা বলে…
খালেদা- আমারও তো নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে।
হাসিনা- আমাদের কিন্তু ৯৬ কথা মনে আছে।
খালেদা- ১৭৩দিন হরতাল করেননি?
হাসিনা- ৯৬তে আপনারাও করেছেন।
খালেদা- ১৯৯১ সালে আমরা একসঙ্গে আন্দোলন করেছি। একসঙ্গে কাজ করতাম। কিন্তু আপনি প্রথম দিনেই সংসদে বললেন, একদিনও শান্তিতে থাকতে দিবেন না।
হাসিনা- নো।
খালেদা- আপনি একবার তত্ত্বাবধায়কের কথা বলবেন, একবার সংবিধানের কথা বলবেন।
হাসিনা- নির্বাচনের পর যে সিচুয়েশন হয়েছিল।
খালেদা- ৩০ তারিখের পর হলে আমরা রাজি আছি।
হাসিনা- আমার পার্টি স্ট্রং। আমাদের ভোট আছে। আমরা সংগ্রাম করেই এটা অর্জন করেছি।
খালেদা- আমার দলও অনেক সংগ্রাম করে ক্ষমতায় এসেছিল।
হাসিনা- দুঃখিত।
খালেদা- সময় মতো ফোন করেননি। আমি দুঃখিত। কাল ফোন করলে পরিবেশ পরিস্থিতি অন্যরকম হতো।
হাসিনা- আমার এডিসি দেড়টা থেকে চেষ্টা করেছে।
খালেদা- ফোন না বাজলে ধরার উপায় নেই।
হাসিনা- শিমুল বিশ্বাসের ফোনেও অনেক চেষ্টা করেছে।
খালেদা- আপনি বসেছিলেন ৬টার জন্য।
হাসিনা- আপনি জানেন আমাদের মিটিং ছিল। আমি মিটিংয়ে দেরি করতে পছন্দ করি না।
খালেদা- মিটিং জরুরি না এটা জরুরি ছিল।
হাসিনা- সিদ্ধান্ত নেন।
খালেদা- কিভাবে নেব।
হাসিনা- জাতির কাছে বলেন।
খালেদা- আপনি নির্দলীয় সরকার মেনে নিন। আমি হরতাল প্রত্যাহার করবো।
হাসিনা- আমাদের ৯০ ভাগ সিট …
খালেদা- আপনি বলেন, নির্দলীয় সরকার মেনে নেবেন, আমি হরতাল তুলে নেবো।
হাসিনা- যারা মাইনাস-টু করতে চেয়েছিল আপনি তাদের আনতে চাইছেন।
খালেদা- আমি না, আপনি। আপনি যে ভাষায় কথা বলেন…
হাসিনা- আপনি তো মধুর ভাষায় কথা বলেন। আমরা সংসদে আছি। একসঙ্গে কাজ করবো… আপনি দলের নেতাদের মিটিং করেন।
খালেদা- পুলিশকে বলে দেন। তত্ত্বাবধায়ক মানেন। সবাইকে ডাকি।
হাসিনা- হরতাল তুলে নেন।
খালেদা- নির্দলীয় সরকার মানার ঘোষণা দেন।
হাসিনা- আপনার দলের লোকের উপর ভরসা নেই?
খালেদা- আমার দলের লোকের উপর ভরসা আছে।
হাসিনা- তাদের ডাকেন।
খালেদা- আপনি দাবি মানেন, হরতাল …
হাসিনা- আপনি সর্বদলীয় মানেন।
খালেদা- সবর্দলীয় মানা যায় না।
হাসিনা- আবার কাকে আনবেন, মঈনউদ্দিন-ফখরুদ্দিনের মতো।
খালেদা- আপনিই আনেন।
হাসিনা- ফখরুদ্দিন-মঈনউদ্দিন সৃষ্টি করবেন না।
খালেদা- কি বলেন…
হাসিনা- আসেন। হরতাল তুলে নেন।
খালেদা- ২৮ তারিখের আগে পারব না। হবে না।
হাসিনা- ধন্যবাদ…