যশোরে গুলিবিদ্ধ আ. লীগ নেতার মৃত্যু
সন্ত্রাসীদের গুলি ও বোমার আঘাতে আহত যশোর শহরের বারান্দিপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম (৫২) বুধবার সকাল ছয়টায় মারা গেছেন। সন্ত্রাসীরা মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটায় যশোর শহরের মনিহার-তালতলা এলাকায় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। তিনি পুরাতন টায়ার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে বলা হয়েছে, আঞ্চলিক কলহের সূত্র ধরে একদল সন্ত্রাসীরা তার দোকানে ঢুকে তাকে লক্ষ্য করে পর পর তিনটি গুলি করে। পরে পাঁচটি বোমা ফাটিয়ে আতংক সৃষ্টি করে চলে যায়। গুলি ও ওবামা লেগে তিনি গুরুতর আহত হন। তাকে প্রথমে যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বর্তি করা হয়। চার ঘন্টা চেষ্টা করেও তার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকালে তিনি মারা যান। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিন চাকলাদার অভিযোগ করেন, এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী ফিঙে লিটন ও তার বাহিনী এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত। নজরুল ইসলাম আহত হওয়ার পর পরই আওয়ামী লীগ শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। তার মৃত্যুর খবর শুনে এলাকাবাসী এক ঘন্টার মতো ঢাকা অবরোধ করে খুনিদের গ্রেফতারের দাবি জানান। পুরাতন টায়ার ব্যবসায়ী সমিতি বুধবার সারাদিন দোকানপাট বন্ধ রেখে এ হত্যার প্রতিবাদ জানায়। কোতোয়ালি থানার ওসি এমদাদুল হক শেখ জানান, গুলি করার পর যে বোমা নিক্ষেপ করা হয় তাতেও তিনি ক্ষতবিক্ষত হন। গত ২৯ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসীরা তাকে লক্ষ করে গুলি করেছিল। আসামিদের ধরার জন সাড়াশি অভিযান চলছে। প্রথমবার তার ওপর গুলি করা হলে তার সঙ্গী এক পরিবহন শ্রমিক নেতা রিপন গুলিবিদ্ধ হয়। এ ঘটনায় শীর্ষ সন্ত্রাসী ফিঙে লিটনকে আসামি করে মামলা করা হয়।