সৌদি আরব অবৈধ শ্রমিকদের ক্ষমার সময় বৃদ্ধি করবে না
সৌদি আরবের শ্রম মন্ত্রণালয় প্রবাসী অবৈধ শ্রমিক ও তাদের সৌদি নিয়োগ কর্তাদের ক্ষমা ঘোষণার সময়সীমা বৃদ্ধির কথা নাকচ করে দিয়ে জানিয়েছে ৪ নবেম্বর থেকে অবৈধদের বিরুদ্ধে ধড়পাকড় অভিযান শুরু হবে।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হাত্তাব আল এনেজি কয়েকটি চ্যানেল ও ওয়েব সাইটে প্রচারিত অবৈধ শ্রমিকদের ক্ষমার মেয়াদ বৃদ্ধির রিপোর্ট নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি এই রিপোর্টকে বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা বলে অভিহিত করেন। হাত্তাব বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেন, অবৈধ শ্রমিকদের ক্ষমার সময়সীমা সৌদি সরকার আবারও বৃদ্ধি করতে পারে বলে কয়েকটি সামাজিক নেটওয়ার্ক ওয়েব সাইট ও চ্যানেলে যে খবর প্রচারিত হয়েছে তা সঠিক নয়।
আগামী রোববার ঘোষিত ক্ষমার মেয়াদ শেষ হবে এবং পরদিন সোমবার থেকে পরিকল্পনামাফিক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শন শুরু করা হবে। মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন শাখা এসব প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের জন্য প্রস্তুত। তবে যেসব অভিবাসী শ্রমিক সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র দেখাতে পারবে এবং যারা ক্ষমার মেয়াদ বৃদ্ধি প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে কিংবা স্বদেশে চলে যেতে প্রস্তুতি নিচ্ছে তাদের সরকারি সংস্থাসমূহ গ্রেফতার করবে না। একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কয়েকটি দেশের অবৈধ হয়ে পড়া শ্রমিকদের ক্ষমার মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদনপত্র শ্রম মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছে। ভারতীয় দূতাবাসের চার্জ দ্য এফেয়ার্সের সিবি জর্জ বলেন, মন্ত্রণালয় আমাদের আশ্বস্ত করে বলেছে, আমাদের দেশের অবৈধ হয়ে পড়া শ্রমিক যারা বৈধ হওয়ার প্রক্রিয়াধীন আছে কিংবা দেশে ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে তাদের গ্রেফতার করা হবে না। তিনি জানান, মন্ত্রণালয় সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, অপরাধকর্মের সঙ্গে জড়িতদের ব্যাপারে নমনীয়তা প্রদর্শন করা হবে না। অবৈধ শ্রমিকদের ২ বছরের কারাদন্ড ও ১ লাখ রিয়াল পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। যেসব ব্যক্তি ওমরাহ ও হজ্জ করতে এসে সৌদি আরবে অবৈধভাবে রয়ে গেছে, তাদেরও একই ধরনের সাজা ভোগ করতে হবে।
ক্ষমার সময়সূচি বৃদ্ধির সুযোগে সৌদি আরবে অবৈধ ৪০ লাখের বেশি অভিবাসী শ্রমিক তাদের আকামা সংশোধন করেছে এবং প্রায় ১০ লাখ শ্রমিক ক্ষমার সুযোগ নিয়ে সৌদি আরব ত্যাগ করে নিজ নিজ দেশে ফিরে গেছে। সাত মাসের ক্ষমার সময়সূচি থেকে সৌদি আরবে অভিবাসী শ্রমিকদের প্রায় অর্ধেক শ্রমিক সুবিধা নিয়েছে। দুই পবিত্র মসজিদের খাদেম বাদশাহ আব্দুল্লাহ অবৈধ হয়ে পড়া অভিবাসীদের বৈধ হওয়ার জন্য প্রথমে তিন মাসের সময়সূচি ঘোষণা করেছিলেন। পরবর্তীতে ক্ষমার মেযাদ তিনি আরো ৪ মাস বৃদ্ধি করেন।