বাংলাদেশ ভ্রমণে বিদেশী নাগরিকদের প্রতি হুঁশিয়ারি

FCOসহিংসতার আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ ভ্রমণে আগ্রহী নিজ নিজ দেশের নাগরিকদের সতর্ক করে সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, জাতীয় নির্বাচন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও শ্রমিক অসন্তোষকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা চলছে। এ সংক্রান্ত বিক্ষোভগুলো পুলিশ ও প্রতিবাদকারীদের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষে রূপ নেয়, যার পরিণতিতে হতাহত ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি ঘটে। দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভকারীরা সড়ক-মহাসড়কে অবরোধ সৃষ্টি করে এবং রেল ও রেললাইনের ক্ষতিসাধন করে। সংঘর্ষে ইট-পাথর ও ঘরে তৈরী স্বল্প ক্ষমতার বোমা ব্যবহার করা হয়। নিরাপত্তা বাহিনী কাঁদানে গ্যাস, প্রাণঘাতি নয় এমন অস্ত্র ও অগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে থাকে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ প্রধান শহরগুলোতে সংঘর্ষ কেন্দ্রীভূত থাকে। তবে তা দেশব্যাপীও ছড়িয়ে পরে। মিছিল-সমাবেশ এড়িয়ে চলতে মার্কিন নাগরিকদের ঢাকার নয়া পল্টন, বায়তুল মুকাররম মসজিদ, মুক্তাঙ্গন, জিপিও, সচিবালয়, তোপখানা রোডে না যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়া গুলশান ৭৯ নম্বর রোডে প্রধান বিরোধী দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয় এবং ৮৬ নম্বর রোডে তার বাসভবন-সংলগ্ন এলাকা এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে।
ব্রিটিশ ফরেন এন্ড কমনওয়েলথ অফিসের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে কোনো রকম পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়। গত ২৮ ফেব্রুয়ারির পর দেশব্যাপী সহিংসতায় শতাধিক মানুষ প্রাণ হাড়িয়েছে। এতে শহর ও দেশের বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ ব্যবস্থা দরুণভাবে ব্যাহত হয়েছে। বাংলাদেশে নিয়মিতভাবেই হরতাল পালন করা হয়। হরতালে বাস পোড়ানো, সম্পদের ওপর আক্রমণ, সড়ক অবরোধ ও পুলিশের সাথে সংঘর্ষের কারণে খুব দ্রুত সহিংসতা ছড়িয়ে পড়তে পারে। হরতালকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ২৫ অক্টোবর থেকে ২০ জন মারা গেছে। বিরোধী দল আগামীকাল সকাল ৬টা থেকে ৬০ ঘন্টার হরতাল আহ্বান করেছে। হরতালের আগের দিনও বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা হয়।
বাংলাদেশের অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্য কানাডা তাদের নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে। দেশটি বলেছে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা, হরতাল ও সহিংস সংঘর্ষ চলছে। পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। হরতালে ব্যক্তিগত গাড়ি ও অন্যান্য যানবাহনে আক্রমণ করা হয় বলে জানিয়ে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদের সতর্ক করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button