কওমী শিক্ষার্থীদের চাকরি নিশ্চিত করা হবে : প্রধানমন্ত্রী
কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা সার্টিফিকেট পাওয়ার সঙ্গে যেন চাকরিও পায় সে ব্যবস্থা করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমরা কওমী মাদ্রাসার জন্য কমিশন করেছি। তারা কওমী মাদ্রাসার জন্য নীতিমালা তৈরি করেছে। আমি চাই, যারা কওমী মাদ্রাসা থেকে বের হচ্ছে- তারা যেনো সার্টিফিকেট পায়। তারা যেন সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি করতে পারে।
সোমবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনের নেতা, ইসলামী চিন্তাবিদ ওলামা-মাশায়েখদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, কওমী মাদ্রাসা নীতিমালা তৈরি করতে সবার মতামত নেয়া হয়েছে। মতামতেরভিত্তিতে কওমী মাদ্রাসা নীতিমালা তৈরি করা হবে। আমরা কারো মনে আমরা আঘাত নিতে চাই না। এ নিয়ে কোনো অশান্তি সৃষ্টি হোক- এটাও চাই না।
তিনি বলেন, এ নীতিমালার বিষয়ে কারো উপর কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। কেউ সার্টিফিকেট না নিতে চাইলে; না নেবে।
ইসলামের উন্নয়নে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অবদানের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে প্রত্যেক জেলা ও উপজেলায় একটি করে কেন্দ্রিয় মসজিদ করা হবে।
তিনি বলেন, ইসলাম হলো শান্তির ধর্ম। বাংলাদেশের ঐতিহ্য হচ্ছে- সব ধর্মের মানুষ পাশাপশি বাস করে। সংখ্যালঘুসহ সব ধর্মকে সংরক্ষণে আপনাদের সহযোগিতা দরকার।
তিনি বলেন, আমরা এক হাজার মাদ্রাসা ভবন তৈরি করেছি। আরো করা হবে। মাদ্রাসা শিক্ষাকে যুগোপযোগী ও আধুনিক করা হবে। ইতিমধ্যে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, কাজী জাফরউল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু, এইচ টি ইমাম, ড. আলাউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
আলেম-ওলামাদের মধ্যে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মেছবাহুর রহমান, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভা-ারী, ওলামা লীগের নেতা মাওলানা আবুল হাসান শরিয়তপুরী, ইসলামী ঐক্যজোটের সাধারণ সম্পাদক মহিবুল্লাহ মুজাদ্দেদী, আলহাজ বাহাউদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।