তারেকের গ্রেফতারি পরোয়ানা ব্রিটিশ সরকারের কাছে
বিএনপির সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ব্রিটিশ সরকারের কাছে গ্রেফতারি পরোয়ানা পাঠিয়েছে সরকার। বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে উদ্ধৃত করে বাংলাদেশের একটি জাতীয় দৈনিকে এ খবর প্রকাশ করেছে।
প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক অধিশাখা থেকে ব্রিটিশ সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে তারেক রহমানকে প্রত্যর্পণের অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, পলাতক আসামি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আদালতের ইস্যু করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানাটি ঢাকার জাতীয় অপরাধ প্রতিহত কমিটি থেকে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোতে (এনসিবি) পাঠানো হয়েছে। ওই আসামিকে দেশে ফিরিয়ে আনতে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকারকে অনুরোধ করা হলো।
তারেককে ঘুষের অর্থ লেনদেনের মামলায় আদালতের মুখোমুখি করার উদ্দেশ্যেই এ চিঠি দেয়া হয় বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
আগামী ৭ নভেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে তার মামলার যুক্তিতর্ক শুনানির দিন ধার্য আছে।
দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য এর আগে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন আদালত। এবার পরোয়ানা ব্রিটেনের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে পাঠানো হলো। ইন্টারপোলকেও এ ব্যাপারে অবহিত করা হয়েছে।
টঙ্গীতে ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য নির্মাণ কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের মালিক খাদিজা ইসলামের কাছ থেকে তারেক রহমানের বন্ধু ও ব্যবসায়িক পার্টনার গিয়াসউদ্দিন আল মামুন ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা নেন বলে অভিযোগ আছে।
এ অভিযোগে অর্থপাচার (মানি লন্ডারিং) প্রতিরোধ আইনে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় তারেক রহমান ও গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর মামলা করে দুদক। ২০১০ সালে চার্জশিট দেওয়া হয়।
উচ্চ আদালতের জামিন নিয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যান তারেক রহমান। এরপর তার জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় সেই জামিন বাতিল করা হয়।