স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সন্ত্রাসী ঘুরে বেড়ায়, আর পুলিশ আসামি পায় না
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান গতকাল বৃহস্পতিবার পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার বনগ্রামে হিন্দু পল্লীতে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মন্দির পরিদর্শন করেছেন। হামলাকারীদের এখন পর্যন্ত গ্রেফতার না করায় তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এসময় তিনি পুলিশের উদ্দেশে বলেন, সন্ত্রাসীরা স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ঘুরে বেড়ায়, আর আপনারা আসামি খুঁজে পান না।
বেলা ১১টা থেকে দুপুর পর্যন্ত তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত শত শত হিন্দু নারী-পুরুষ গত শনিবারের তান্ডবের বর্ণনা দেন। আসামি ধরতে না পারায় ড. মিজানুর রহমান পুলিশ প্রশাসনের ব্যর্থতাকে দায়ী করে বলেন, পুলিশ স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করছে না। ঘটনা ঘটে সব শেষ হয়ে যাবার পর কিসের নিরাপত্তা—কিসের সাহায্য ? এই সম্প্রদায়ের মনের ক্ষতি কখনোই পুষিয়ে দেয়া যাবে না। এ সময় জেলা পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলে উঠেন ১০ জনকে ধরেছি। সঙ্গে সঙ্গে ড. মিজানুর রহমান তাকে ধমক দিয়ে বলেন, রাখেন আপনার ওসব কথা। এসময় মিজানুর রহমান একটি দৈনিক পত্রিকা বের করে সামনে ছুঁড়ে দিয়ে বলেন দেখেন, এই পত্রিকায় কি ছাপা হয়েছে ? তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সাংবাদিকরা প্রকৃত হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে পারে, আর আপনারা পারেন না। যে মন্ত্রী সন্ত্রাসী পোষে সেই মন্ত্রীকে কেন প্রশ্রয় দেবেন ? পুলিশের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, আপনারা মূল আসামিদের মামলা থেকে বাদ দিয়েছেন। আর ক্ষতিগ্রস্ত বাবুল সাহাকে শিখিয়ে পড়িয়ে মামলায় আসামি বানিয়েছেন। সব আমরা বুঝি ।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের অনুসন্ধান ও তদন্ত পরিচালক শামীম আহমেদ, সহকারী পরিচালক গাজী সালাউদ্দিন, অ্যাডভোকেসি ও কমিনিকিউশন অফিসার খান মো: রবিউল আলম প্রমুখ।
অপরদিকে হিন্দু ,বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ স্থানীয় বারোয়ারী মন্দির চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এছাড়াও সিপিবি’র প্রতিনিধিদল, পাবনা জেলা বিএনপির সভাপতি মেজর (অব.) কেএস মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তোতার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন।