মিসরজুড়ে দশ লক্ষাধিক মুরসি সমর্থকের বিক্ষোভ
আরব বসন্তের প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদ মুরসিকে অবৈধভাবে অপসারণ ও আদালতের মাধ্যমে হয়রানি করার প্রতিবাদে দেশজুড়ে বাদ জুমা আবারো বিক্ষোভ করেছে ১০ লাধিক মুরসি সমর্থক। বিাক্ষোভে কোনো অবস্থাতেই সেনাশাসন ও মুরসির অবৈধ বিচার মেনে নেয়া হবে না বলে স্লোগান দেয় বিুব্ধ ব্রাদারহুড কর্মীরা। আগামীতে আরো কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেয় তারা। এ দিকে দীর্ঘ দিন পরে টেলিভিশন পর্দায় প্রিয় নেতা মুরসিকে দেখার পর নতুন করে আন্দোলনের প্রেরণা পেয়েছে দলের সর্বস্তরের কর্মীরা। ফলে জুমার পর বিক্ষোভ অচল হয়ে যায় দেশ। কায়রো, আলেকজান্দ্রিয়া, ইসমাইলিয়া, পোর্ট সাইদ, সুহাগ, সুয়েচ, ফাইউম, কালুবিয়া, কেনাসহ সারা দেশে আন্দোলনে ফেটে পড়ে মুরসি সমর্থকেরা। এবারের আন্দোলনে শুধু ব্রাদারহুড বা ইসলামপন্থীরা নয় সাধারণ মানুষের সংখ্যা ছিল অন্যান্য বারের চেয়ে বেশি। কায়রো আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় ও আইনুশ শামস বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের উদ্যোগে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল আব্বাসিয়া, রুক্সি, নাসের সিটি, রমসিসসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদণি করে। সেনাবিরোধী আন্দোলনে কায়রো থেকে আলেকাজন্দ্রিয়া পর্যন্ত প্রধান সড়কের সব যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তা ছাড়া আন্দোলনের মুখে রেলপথ, সড়ক পথসহ সব রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। পোর্ট সাইদ এলাকায় সালাফিপন্থীদের সাথে মোবারকপন্থীদের সংঘর্ষে আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা বিভাগে অধ্যয়নরত মুহাম্মাদ মাজদি নামে এক মুরসি সমর্থক নিহত হয়। তার নামাজে জানাজায় লাধিক মুরসি সমর্থক সেনাশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে পোর্ট সাইদ এলাকায় বিক্ষোভ করে। আরব বসন্তের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদ মুরসিকে গত ৩ জুলাই সেনা প্রধান আব্দুল ফাত্তাহ সিসি জোরপূর্বক অপহরণ করেন। পরে রাবেয়া স্কয়ার, আল নাহাদা স্কয়ার ও রামসিস স্কয়ারে বর্বর গণহত্যা চালিয়ে পাঁচ হাজারের অধিক ইসলামপন্থীকে হত্যা করা সত্ত্বেও মুরসিকে হত্যাসহ একাধিক অভিযোগে অভিযুক্ত করে বিচারের করা হচ্ছে। বর্তমানে তিনি আলেকজান্দ্রিয়ার বুরগুল আরব কারাগারের হাসপাতালে রয়েছেন।