টাঙ্গাইলে পুলিশের সাথে জামায়াত-শিবিরের সংঘর্ষ

বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড়ে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় পুলিশের সাথে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে এক এসআইসহ জামায়াত-শিবিরের অন্তত ১২ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার পাথাইলকান্দি বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ ছাড়াও টিয়ারশেল ও শটগানের গুলি ছুঁড়ে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা পাথাইলকান্দি বাজার এলাকায় হরতালের সমর্থনে লাঠি মিছিল বের করে। মিছিল শেষে তারা বঙ্গবন্ধু সেতু-ভূঞাপুর সড়ক অবরোধ করে। খবর পেয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানা ও ভূঞাপুর থানা পুলিশ সেখানে গেলে ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে এবং দুই রাউন্ড টিয়ারশেল ও চার রাউন্ড শটগানের গুলি ছুঁড়ে। এসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়ে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার এসআই সরোয়ার্দীসহ দুই পুলিশ সদস্য এবং জামায়াত-শিবিরের ১২ নেতাকর্মী আহত হন। তারা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেন। শিবিরের বঙ্গবন্ধু সেতু দক্ষিণ সাংগঠনিক থানা শাখার সভাপতি আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা শান্তিপূর্নভাবে পিকেটিং করছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমাদের উপর লাঠিচার্জ, গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ১০/১২ জন নেতা-কর্মীকে আহত করেছে। বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানা অফিসার ইনচার্জ হারেচ আলী মিয়া বলেন, জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা অবরোধ করে রেখেছিল। পুলিশ তাদের সেখান থেকে চলে যেতে বললে তারা পুলিশের উপর চড়াও হয়। পরে পুলিশ বাধ্য হয়ে লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও শর্টগানের গুলি ছোঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া হরতালের সমর্থনে টাঙ্গাইল শহরে ১৮ দলের নেতাকর্মীরা মিছিল করেছে। দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল শুরু হয়ে ভিক্টোরিয়া রোড ঘুরে পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। সেখানে বক্তৃতা করেন জেলা বিএনপির সভাপতি বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম তোফা ও জামায়াতের জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক খন্দকার আব্দুর রাজ্জাক।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button