উইকিপিডিয়াতেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ‘ভবন নাড়াচাড়া’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর তার ‘অসংলগ্ন’ বক্তব্য নিয়ে প্রায়ই আলোচিত-সমালোচিত-বিতর্কিত হন। উইকিপিডিয়াতেও তার এই বিতর্কিত ভূমিকাটি ফলাও করে উল্লেখ করা আছে।
উইকিপিডিয়ার মহীউদ্দীন খান আলমগীরের জীবনীতে সমালোচনার বিষয়ে রানা প্লাজা ধসের ঘটনা নিয়ে তার মহাবিতর্কিত বিষয়টি উল্লেখ করা আছে।
উইকিপিডিয়া লিখেছে- ( During the 2013 Savar building collapse in which a nine storied building collapsed and more than 1000 people lost their lives, he made a comment that the building may have collapsed because members of the opposition were shaking it with their hands. ) ২০১৩ সালে সাভারে নয় তালা ভবন ধ্বসের পর বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “বিরোধী দলের (বিএনপি) কর্মীরা হরতালের সময় ওই ভবনের পিলার ধরে নাড়াচাড়া করে, যা ওই ভবন ধসের একটি কারণ হতে পারে। তার এই বক্তব্য জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক সমালোচিত হয়।”
তার অন্যসব বিতর্কিত বিষয় নিয়ে উইকিপিডিয়া লিখেছে- “মুক্তিযোদ্ধা কাদের সিদ্দিকী মহীউদ্দীনকে পাকিস্তানী দোসর বলে অভিযুক্ত করেন। কারণ তিনি ১৯৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে পাকিস্তান সরকারের অধীনে উপবিভাগীয় কমিশনার পদে কর্মরত ছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে বিরোধী দলের ওপর অত্যচারে পুলিশ বাহিনীকে ব্যবহারের অভিযোগে মহিউদ্দিনের সমালোচনা করা হয়। এছাড়া পুলিশ বাহিনীকে ব্যবহার করে আন্দোলনে অংশ নেয়া জামায়াত-শিবিরের প্রায় ১৫০ কর্মীকে হত্যার অভিযোগেও তিনি ব্যাপকভাবে সমালোচিত হন। এই আন্দোলনটি ছিল যুদ্ধাপরাধের দায়ে দণ্ডিত তাদের নেতার মুক্তির দাবিতে।”
সোমাবার আওয়ামী লীগ পন্থি বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেছেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর কোনো সাংবাদিক হত্যা বা নির্যাতনের বিচার করতে পারেননি। তিনি ও তার পুলিশ কর্তৃপক্ষ সাগর-রুনি হত্যার কোনো সুরাহা করতে পারেননি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরকার ও গণমাধ্যমকে প্রশ্নবোধকের মধ্যে ফেলে দিয়েছেন। বার বার আলটিমেটাম দিয়েও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাগর-রুনির হ্ত্যাকারীদের ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিদায় বেলায় তাকে কোনো নম্বর দিতে পারলাম না। শূন্য দিলাম।”
সোমবার রাতে চ্যানেল আইয়ের তৃতীয় মাত্রা-তে দেয়া তার বক্তব্য নিয়েও ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। ওই অনুষ্ঠানে মহিউদ্দীন খান আলমগীর দাবি করেন, দেশের ৮৬ ভাগ মানুষই হরতালের প্রভাবমুক্ত। Wikipedia Link