যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে আরবদের নতুন ভাবনা
যুক্তরাষ্ট্র আরব বিশ্বের দীর্ঘকালের মিত্র। আরবরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি নির্ভরশীল ও তার উপর তাদের বিপুল আস্থা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র তাদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান বা স্বার্থ রক্ষায় যতোই ব্যর্থ হয় ততোই মিষ্টি কথা বলে। সত্যি কথা বলতে কী, যুক্তরাষ্ট্র আরবদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে ও করে চলেছে। এ প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্কের ব্যাপারে নতুন করে ভাবছে আরব জনগণ। এ বিশ্বাসঘাতকতার শুরু কবে থেকে? ১৯৪৮ সালের ১৪ মে হ্যারি এস ট্রুম্যান ইসরাইল রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেন। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র হয় ইসরাইলকে স্বীকৃতি দানকারী বিশ্বের প্রথম দেশ। বিশ্বাসঘাতকতার সেই যে শুরু এখনো তা অব্যাহত রয়েছে। এর সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটে এ বছরের গোড়ার দিকে যখন ওবামা আরব ভূমিতে উপনিবেশ স্থাপনের জন্য ইহুদি রাষ্ট্রকে মাথা ঝুঁকিয়ে সম্মতি জানান। যুক্তরাষ্ট্র আরবদের বরাবরই দংশন করে চলেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সেই কবে থেকে মধ্যপ্রাচ্যে আসা-যাওয়া করছেন। তাদের প্রতি আরবরা বিতৃষ্ণ। ১৯৭০ সালের মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম রজার্স থেকে গত সপ্তাহে এ অঞ্চল সফরকারী বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি পর্যন্ত সবাই যুক্তরাষ্ট্রের নিরপেক্ষতা ও ন্যায় বিচারের ঘোষিত নীতির অস্ত্রে সজ্জিত ছিলেন। গত ৫ নভেম্বর ‘দুটি জনগোষ্ঠীর জন্য দুটি রাষ্ট্র’ সৃষ্টির অভিযাত্রায় তার তেল আবিব আগমনের প্রাক্কালে তাকে এ খবর দিয়ে অভিনন্দিত করা হয় যে, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতনিয়াহুর শাসক জোটের অনেকে ও তার নিজের দল লিকুদ-এর আরো অনেকে এবং নেসেট সদস্যদের অধিকাংশই একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ধারণার শুধু বিরোধীই নয়- তারা পশ্চিমতীরের ফিলিস্তিনি ভূখন্ডের এক বিরাট অংশ ইসরাইলের অন্তর্ভুক্ত করার তাদের নিজস্ব পরিকল্পনাও উপস্থাপন করেছেন। ইসরাইলের সম্প্রসারণ নীতির জোর সমর্থক উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জীভ এলকিন বলেন, বিশ্ব বিরোধিতা করলেও এখনি পশ্চিমতীরে তা করার সময় যা আমরা পূর্বতীর ও গোলানে করেছি।
কট্টর ফিলিস্তিন বিরোধী উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী ড্যানি ড্যানন বলেন, আমি মনে করি, আমাদের আর পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বসতি স্থাপনের কথা না ভেবে ইসরাইলে ফিলিস্তিনি বসতি স্থাপনের কথা ভাবা উচিত। উল্লেখ্য, কেরির পূর্বসূরি সবাই ইসরাইলিদের চাপের কাছে নতি স্বীকার করেছেন। কেরি কি তাদের চেয়ে আলাদা কিছু করবেন? ভাবুন তো, যদি ফিলিস্তিনি পার্লামেন্টের অধিকাংশ সদস্য ও প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মন্ত্রিসভার প্রায় সবাই তাদের দেশে কেরির সরকারি সফরের প্রাক্কালে তাকে এ বলে অভিনন্দিত করেন যে ঐতিহাসিক ফিলিস্তিন ১৩শ’ বছর ধরে আরবদের, তাদের মাতৃভূমিতে ইসরাইল এক নিজেই এক বিরাট ঔপনিবেশিক বসতি এবং তারা কোনোভাবেই রাষ্ট্র হিসেবে তার অস্তিত্ব মেনে নেবেন না, বৈধতা স্বীকার করবেন না, তাহলে নরক কি ভেঙে পড়বে না? এ প্রশ্ন করা অপ্রাসঙ্গিক যে, এতগুলো বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র কেন ইসরাইলের এসব বাড়াবাড়িকে মধুর আনন্দের সাথে প্রশ্রয় দিয়ে চলেছে। সে কি বিশ্বের এ অংশে ইসরাইলকে গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সম্পদ মনে করে? সূত্র : আরব নিউজ।
কট্টর ফিলিস্তিন বিরোধী উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী ড্যানি ড্যানন বলেন, আমি মনে করি, আমাদের আর পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বসতি স্থাপনের কথা না ভেবে ইসরাইলে ফিলিস্তিনি বসতি স্থাপনের কথা ভাবা উচিত। উল্লেখ্য, কেরির পূর্বসূরি সবাই ইসরাইলিদের চাপের কাছে নতি স্বীকার করেছেন। কেরি কি তাদের চেয়ে আলাদা কিছু করবেন? ভাবুন তো, যদি ফিলিস্তিনি পার্লামেন্টের অধিকাংশ সদস্য ও প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মন্ত্রিসভার প্রায় সবাই তাদের দেশে কেরির সরকারি সফরের প্রাক্কালে তাকে এ বলে অভিনন্দিত করেন যে ঐতিহাসিক ফিলিস্তিন ১৩শ’ বছর ধরে আরবদের, তাদের মাতৃভূমিতে ইসরাইল এক নিজেই এক বিরাট ঔপনিবেশিক বসতি এবং তারা কোনোভাবেই রাষ্ট্র হিসেবে তার অস্তিত্ব মেনে নেবেন না, বৈধতা স্বীকার করবেন না, তাহলে নরক কি ভেঙে পড়বে না? এ প্রশ্ন করা অপ্রাসঙ্গিক যে, এতগুলো বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র কেন ইসরাইলের এসব বাড়াবাড়িকে মধুর আনন্দের সাথে প্রশ্রয় দিয়ে চলেছে। সে কি বিশ্বের এ অংশে ইসরাইলকে গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সম্পদ মনে করে? সূত্র : আরব নিউজ।