মালালা’র বই নিষিদ্ধের ঘটনা ও তার প্রেক্ষাপট
পাকিস্তানে নারী শিক্ষার দাবিতে আন্দোলনরত রহস্যহজন কিশোরি মালালা ইউসুফজাই’র লেখা একটি বই নিষিদ্ধ করেছে সেদেশের বেসরকারি স্কুলগুলোর সংস্থা। পাকিস্তান ও ইসলামবিদ্বেষী বক্তব্য থাকার কারণে বইটি সেদেশের বেসরকারি স্কুলগুলোতে পড়ানো হবে না বলে জানিয়েছেন একজন পদস্থ কর্মকর্তা। অল পাকিস্তান প্রাইভেট স্কুলস ফেডারেশনের প্রধান কাশিফ মির্জা বলেছেন, “হ্যা আমরা মালালার বই (আই অ্যাম মালালা) নিষিদ্ধ করেছি। কারণ, এটির বক্তব্য আমাদের দেশের নৈতিকতা ও ইসলামি মূল্যবোধের পরিপন্থী। আমরা মালালার বিরোধী নই। সে আমাদের মেয়ে এবং সে নিজেই তার বইয়ের বিষয়বস্তু নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত। তার বাবা বইটির প্রকাশককে সালমান রুশদিকে নিয়ে লেখা প্যারাগ্রাফগুলো বাদ দিতে এবং বিশ্বনবী’র নামের পরে (সা.) শব্দটি যোগ করতে বলেছেন।”
মালালার বইটিতে ইসলাম অবমাননাকরী মুরতাদ লেখক সালমান রুশদির প্রশংসাসূচক কথাবার্তা থাকার পাশাপাশি বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর নামের শেষে (সা.) শব্দটি যোগ করা হয়নি। (এটা বিশেষ করে নাস্তিকদের একটি স্টাইল) ইসলামে বিশ্বাসী প্রতিটি মুসলমান বিশ্বনবীর নামের শেষে (সা.) বা তাঁর প্রতি আল্লাহর সালাম ও দরুদ বর্ষিত হোক কথাটি বলাকে অবশ্য পালনীয় কর্তব্য মনে করে। সেটা মালালা একবারও করেনি। বরং অবমাননাকরভাবে উল্লেখ করেছে।
কাশিফ মির্জা আরো বলেন, গত বছর সোয়াত উপত্যকায় মালালা অজ্ঞাত বন্ধুকধারী দ্বারা আক্রান্ত হলে পাকিস্তানের এক লাখ ৫২ হাজার বেসরকারি স্কুল তার প্রতি সংহতি জানিয়েছিল। কিন্তু এখন সে তার আত্মজীবনীতে যে দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছে তা গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বলেন, একটি স্কুলও মালালার লেখা ‘আই অ্যাম মালালা’ বইটি কিনবে না। কোনো স্কুলের পাঠাগার বা পাঠ্যক্রমে বইটি অন্তর্ভূক্ত হবে না।