সৌদিতে বন্ধের পথে ১০ হাজার নির্মাণ প্রতিষ্ঠান
সৌদি আরবে অবৈধ শ্রমিক বিরোধী অভিযানের বাড়াবাড়িতে বন্ধ হতে চলেছে প্রায় ১০ হাজার নির্মাণ প্রতিষ্ঠান।এ সংখ্যা দেশটির ব্যবসায়ীদের শীর্ষ ফোরাম সৌদি চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডিাস্ট্রিতে নিবন্ধিত মোট নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের অর্ধেক।
শ্রমিকের অভাবে নির্মাণ খাতকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে। আগামি ২০২০ সালের মধ্যে ৩ ট্রিলিয়ন সৌদি রিয়ালের বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে। এসব প্রকল্পে বৈধ-অবৈধ কয়েক লাখ নির্মাণ শ্রমিকরা কাজ করে আসছিলেন।
জেদ্দা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ঠিকাদার ও রেডি-মিক্স কনক্রিট কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান রিয়াদ আল অকাইলি বলেন, এ ধরনের সংকট এড়াতে সৌদি তরুণদের আরও প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
আল অকালি জানান, ইঞ্জিনিয়ারিং ও কারিগরি কাজে শারীরিক শ্রমের ব্যাপার না থাকায় বয়স কোনো বিবেচ্য বিষয় নয়; তবে সত্তর উর্ধ্ব সিনিয়রদের বিস্তৃত দক্ষতা খুবই জরুরি।
তিনি আরো জানান,বিভিন্ন প্রজেক্ট ও দক্ষতার উপর সর্বগ্রাহিতা একটা প্রাকৃতিক ঘটনা যেখানে অভিজ্ঞতা প্রাকৃতিক নিয়মে হস্তান্তরযোগ্য নয়। তরুণদের ব্যাপারে তিনি বলেন, নতুন গ্রাজুয়েটদের মাঝে যারা এই পেশায় আছে তাদেরকে দক্ষতা প্রমাণের জন্য দিগুন শ্রম নিয়োগ করা উচিত।
বৈরী কর্ম-পরিস্থিতির কারণে তরুণরা এই সেক্টরে আসতে ব্যাপক আগ্রহী।
মক্কার প্রাযুক্তিক ও পেশাগত প্রশিক্ষণ সেন্টারের প্রধান রাশিদ আল জাফরানি বলেন, কারিগরি কলেজ ও ইস্টিটিউটগুলোতে স্থাপত্যবিদ্যা, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ভূমি জরিপের মতো নির্মাণ সেক্টরের সাথে সম্পর্কিত বিষয় রয়েছে।
জিসিসিআই’র মানব সম্পদ কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান আমাল শিরা নির্মাণ সেক্টরের সৌদি অভিবাসীদের কর্ম-কাল নির্ধারণের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। এতে তাদের জ্ঞান-দক্ষতার হস্তান্তর নিশ্চিত হবে।