বৃহস্পতিবার জামায়াতের বিক্ষোভ
নির্বাচন কমিশনের ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্য ও জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে সরকারি চক্রান্তের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।
বুধবার সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতির মাধ্যমে সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
বিবৃতিতে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশন তাদের আচরণ ও ভূমিকার মাধ্যমে নিজেদেরকে সরকারের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। সরকার নিজেদের নির্দেশিত ছকে নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য তাদের পছন্দনীয় লোককে নির্বাচন কমিশনে বসিয়ে এ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে কলঙ্কিত করেছে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের কোন মেরুদন্ড নেই। তারা সরকারের কথায় উঠে বসে এবং ডিগবাজী খায়। সেই জন্য এ নির্বাচন কমিশনের প্রতি ১৮ দলীয় জোটসহ কোন বিরোধী দলের আস্থা নেই। এই নির্বাচন কমিশনের দ্বারা সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়।’
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নির্বাচনের বাইরে রাখার জন্য সরকার শুরু থেকেই নানামুখি ষড়যন্ত্র করছে। নির্বাচন কমিশন সরকারের সেই প্রত্যাশাপূরণের জন্য সুপ্রিম কোর্টে নিবন্ধন সংক্রান্ত মামলার আপীল নিষ্পত্তির পূর্বেই জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। নির্বাচন কমিশনার শাহনেওয়াজ ৭ নভেম্বর ‘জামায়াত নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না’ বক্তব্য দিয়ে সরকারি ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। সরকার জামায়াতকে নির্বাচনের বাইরে রাখার জন্য এবং দলীয় প্রতীকে জামায়াত যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারে সেজন্য যে চক্রান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন তা বাস্তবায়নের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।’
একইসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের প্রতি ১৮-দলীয় জোটসহ কোনো বিরোধী দলেরই আস্থা নেই উল্লেখ করে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল বিবৃতিতে বলেন, দেশের জনগণ সরকারের সঙ্গে এই নির্বাচন কমিশনেরও পদত্যাগ চায়।