পাঁচ দিন পর গুলশান কার্যালয়ে খালেদা জিয়া
পাঁচ দিন পর গুলশানে নিজ কার্যালয়ে গেলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বুধবার রাত সোয়া ৮টার দিকে তিনি কার্যালয়ে আসেন। এ সময় কার্যালয়ের সামনে মোতায়েন ছিল অতিরিক্ত পুলিশ। কার্যালয়ে আসার পর দলের সিনিয়র নেতা ও বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিরা তার সাথে দেখা করেন এবং আন্দোলনের কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার দলীয় কার্যালয়ে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। ওই দিন স্থায়ী কমিটির সাথে আন্দোলন পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেন তিনি। পরদিন শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ৭২ ঘণ্টা হরতালের ঘোষণা দেন। ওই হরতাল কর্মসূচি ঘোষণার পরপরই বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতার অভিযান শুরু করে সরকার। গ্রেফতার করা হয় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, এম কে আনোয়ার, রফিকুল ইসলাম মিয়া, উপদেষ্টা আব্দুল আউয়াল মিন্টু ও বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাসকে। গ্রেফতার অভিযানের সাথে সাথে খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসা ও অফিসে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ। খালেদা জিয়ার বাসা ঘিরে কড়া নজরদারি আরোপ করা হয়। এক রকম অবরুদ্ধ করে রাখা হয় বিরোধীদলীয় নেতাকে। শীর্ষ নেতারা গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনের কৌশল অবলম্বন করেন। দুই দিন পরে খালেদা জিয়ার বাসা ও অফিস থেকে অতিরিক্ত পুলিশ প্রত্যাহার করা হয়। পাঁচ দিন এ অবস্থা চলার পর গতকাল ৮৪ ঘণ্টা হরতাল শেষে রাতে গুলশান কার্যালয়ে আসেন খালেদা জিয়া। কার্যালয়ে আসার পর খালেদা জিয়ার সাথে দলের সিনিয়র নেতারা কুশল বিনিময় করেন এবং আন্দোলনের পরবর্তী কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন। কার্যালয়ে আসেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান, হান্নান শাহ, ভাইস চেয়ারম্যাস শমসের মোবিন চৌধুরী, সেলিমা রহমান, উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, রিয়াজ রহমান, অধ্যাপক মনিরুজ্জামান মিয়া, মাহবুব উল্লাহ, আসাফ উদ্ দ্দৌলা, মাহফুজ উল্লাহ, পিয়াস করিম, কবি আসাদ বিন হাফিজ, দলের মহিলা সংসদ সদস্যরা, বেশ কয়েকজন আইনজীবী ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের নেতারা। এ দিকে কার্যালয়ের সামনে গত সন্ধ্যার পরেই অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সাদা পোশাকধারী পুলিশদের রাখা হয় সতর্ক পাহারায়।