ঢাকায় মাস্টার কার্ডের অফিস
আন্তর্জাতিক পেমেন্ট অপারেটর ও প্রযুক্তি কোম্পানি মাস্টার কার্ড বাংলাদেশের বাজারে কার্যক্রম বাড়াতে চায়। বুধবার ঢাকার গুলশানে আনুষ্ঠানিকভাবে এই অফিসের ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। অফিসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় তারকা হোটেল ওয়েস্টিনে।
বাংলাদেশের বাজারকে ব্যাপক সম্ভাবনাময় হিসেবে দেখছে ১৯৬৬ সালে কার্যক্রম শুরু করা এই প্রতিষ্ঠানটি। আর সে লক্ষ্যে ঢাকায় একটি প্রতিনিধি অফিস চালু করলো বিশ্বের ২ শতাধিক দেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান মাস্টার কার্ড। আর এর মাধ্যমেই প্রথম কোনো পেমেন্ট অপারেটরের ঢাকায় অফিস চালু হলো।
বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ড. আতিউর রহমান এতে প্রধান অতিথি ছিলেন। অন্যদের মধ্যে তফসিলি ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আমিন, মাস্টার কার্ডের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান রন গ্যারো, দক্ষিণ এশিয়ার ডিভিশন প্রেসিডেন্ট আরি সরকার, এ অঞ্চলের প্রধান ভিকাস ভার্মা ও মাস্টার কার্ডেও কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল উপস্থিত ছিলেন।
এসময় ড. আতিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশে মাস্টার কার্ডের কার্যক্রম শুরুকে আমি স্বাগত জানাই। প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৭ সাল থেকে তাদের সেবা আমাদের দেশে দিয়ে যাচ্ছে। আজ তাদের অফিস উদ্বোধন করা হলো। এর ফলে বাংলাদেশ এই সেবা কার্যক্রমে আরো একধাপ এগিয়ে যাবে।
এসময় নুরুল আমিন বলেন, বাংলাদেশে মোট ১২টি ব্যাংক মাস্টার কার্ডের সেবা নিয়েছে। অফিস শুরুর ফলে এর সংখ্যা বাড়বে।
রন গ্যারো বলেন, বাংলাদেশে মাস্টার কার্ডের কার্যক্রমের একটি প্রধান অগ্রাধিকার হলো আর্থিক অন্তর্ভুক্তিমূলক কার্যক্রম জোড়দার করা। যাতে প্রযুক্তিগত সুবিধা ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী এই সেবার মধ্যে আসতে পারে। আমরা মাস্টার কার্ড ১৯৬৬ সাল থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। বর্তমানে বিশ্বেও ২১০টি দেশে আমাদের সেবা রয়েছে। ১৫০টি মুদ্রায় আমরা লেনদেন সম্পন্ন করি। প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১৬ লাখ লেনদেন হচ্ছে আমাদের মাধ্যমে। প্রায় ২২ হাজার প্রতিষ্ঠান আমাদের সঙ্গে অংশীদার হিসেবে কাজ করছে।
রন গ্যারো বলেন, আমরা সবচেয়ে দ্রুত ও সহজে পেমেন্ট সম্পন্ন করি। যা সাশ্রয়ীও বটে।
আরি সরকার বলেন, বাংলাদেশের বাজার মাস্টার কার্ডের জন্য ব্যাপক সম্ভাবনাময়। আমরা এই বাজার দখল করতে চাই। আমরা মধ্য মেয়াদী কোনো পরিকল্পনা করছি না। আমরা দীর্ঘমেয়াদে এখানে থাকতে চাই।
এর ফলে ১৯০ কোটি কার্ড সরবরাহকারি প্রতিষ্ঠানটি দক্ষিণ এশিয়ায় আরো ব্যাপক ভাবে কার্যক্রম চালাতে পারবে।
তিনি আরো বলেন, ইলেকট্রনিক পেমেন্ট সিস্টেমের জন্য বাংলাদেশ একটি বড় বাজার।
অনুষ্ঠানে মাস্টার কার্ডের সেবা গ্রহণকারী ১২টি ব্যাংকের প্রতিনিধির হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।