যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী ছাত্র সংখ্যার নতুন রেকর্ড
যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত বাংলাদেশী ছাত্র সংখ্যা বর্তমানে অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় সর্বাধিক বলে দেশটির দূতাবাসের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার দূতাবাস প্রেরিত এক বিবৃতিতে ওপেন ডোর্স রিপোর্ট অন ইন্টারন্যাশনাল এক্সচেঞ্জ ২০১৩-র উদ্বৃতি দিয়ে একথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ থেকে আগত ছাত্র সংখ্যা ২০১২-২০১৩ সালে ১৫.৫ শতাংশ বেড়ে ৩,৮২৮ জনে উন্নীত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আন্তর্জাতিক ছাত্র সংখ্যা ২০১২-২০১৩ শিক্ষাবর্ষে সাত শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে রেকর্ড পরিমাণ ৮১৯,৬৪৪ এ উন্নীত হয়েছে। এছাড়া বিদেশে অধ্যয়নরত যুক্তরাষ্ট্রীয় ছাত্রের সংখ্যা তিন শতাংশ বেড়ে এ যাবৎকালের সর্বাধিক সংখ্যায় উন্নীত হয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০১২-১৩ সালে সপ্তম বছরের মতো যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক ছাত্র সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এক দশক আগের তুলনায় এখন যুক্তরাষ্ট্রে ৪০ শতাংশ অধিক আন্তর্জাতিক ছাত্র অধ্যয়ন করছে।
বিবৃতিতে দেশটির পররাষ্ট্র দফতরের সহকারী সচিব ইভান এম. রায়ানের উদ্বৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক ছাত্রগণ শ্রেণীকক্ষ, ক্যাম্পাস ও জনগোষ্ঠীসমূহকে এমনভাবে সমৃদ্ধ করে যার প্রভাব তাদের নিজস্ব দেশে ফিরে যাওয়ার পরও অনুভূত হয়। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহকে আরো আন্তর্জাতিক ছাত্রদের স্বাগত জানাতে এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর সকল ছাত্রদের জন্য বিদেশে অধ্যয়নের সুযোগ করে দেয়ার জন্য আরো কাজ করতে অনুপ্রাণিত করি।
উচ্চ শিক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র গমনেচ্ছুকদের জন্য বিভিন্ন উপদেশমূলক সেবা ও রেফারেন্স সামগ্রী রাজধানীর বারিধারায় আমেরিকান সেন্টার, ধানমন্ডিতে এডওয়ার্ড এম. কেনেডি সেন্টার ফর পাবলিক সার্ভিস এন্ড দি আর্টসসহ দেশব্যাপী বিভিন্ন স্থানে পাওয়া যায়। ধানমন্ডির ইএমকে সেন্টারে প্রশিক্ষিত উপদেষ্টাগণ তথ্যপ্রদান এবং অভিভাবক ও ছাত্রদের জন্য ব্যক্তিগত উপদেশ প্রদান করে থাকেন। এডুকেশন ইউএসএ রেফারেন্স গ্রন্থাগার ও উপদেশমূলক সেবা চট্টগ্রাম, সিলেট ও খুলনায় প্রতিষ্ঠিত আমেরিকান কর্ণারগুলোতে পাওয়া যাবে। এবং রাজশাহীতেও এই সেবা শিগগিরই চালু হবে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।