৬৫ বছর বয়সেও সিংহাসনের অপেক্ষা
৬৫তম জন্মদিন। বেশির ভাগ মানুষের ক্ষেত্রেই এই বয়স কর্মজীবনের ইতি টানার একটা সবুজসংকেত দেয়। সুখী অবসর জীবন শুরুর মোক্ষম সময় তো এটাই। তবে আর দশজনের মতো নন প্রিন্স চার্লস। যে ‘চাকরি’ করতে তিনি জন্মেছেন, তার যে কোনো তুলনা নেই!
ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে তাঁর সন্তান প্রিন্স অব ওয়েলস চার্লসের তুলনা করলে একটা বিপরীত চিত্র ফুটে উঠবে। ১৯৫২ সালে মাত্র ২৫ বছর বয়সে ব্রিটিশ সিংহাসনের মুকুট মাথায় তোলেন রানি। আর ১৯৪৮ সালের ১৪ নভেম্বর জন্ম নেওয়া চার্লসের জীবনের ৬৫ বছর কেটে গেল রাজা হওয়ার প্রস্তুতি নিতে নিতে।
রানির বয়স এখন ৮৭ বছর। নিজের ছেলে চার্লসের কাছে সিংহাসনের দায়িত্বভার ছাড়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছেন তিনি। বিষয়টি উপলব্ধি করার জন্য চলতি সপ্তাহকে একটা গুরুত্বপূর্ণ সংকেত হিসেবে দেখা যেতে পারে। শ্রীলঙ্কার কলম্বোয় এবারের কমনওয়েলথ সম্মেলনে যাচ্ছেন না রানি। ১৯৭৩ সালের পর এই প্রথম কোনো সম্মেলনে তাঁর উপস্থিতি থাকছে না।
এই বয়সে বিমান ভ্রমণের ধকল সইতে পারবেন কি না, সেই চিন্তায় ৫৩টি দেশের সংগঠনের এবারের সম্মেলনে রানি যাচ্ছেন না। আনুষ্ঠানিকভাবে বাকিংহাম প্যালেস থেকে এ কারণ জানানো হলেও অনুমান করা হচ্ছে, প্রিন্স চার্লস যাতে বিশ্বমঞ্চে নিজের অবস্থান করে নিতে পারেন, সে জন্যই এ সুযোগ দিলেন রানি। সম্মেলনে রানির পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করবেন তিনিই। ভবিষ্যতেও এমন চিত্র দেখা যেতে পারে। অবশ্য তাঁকে রাজার আসনে দেখতে হয়তো আরও অনেক বছর অপেক্ষা করতে হবে। বিবিসি।