এক রিকশায় মুহিত-আরিফ

Muhit Arifএকই রিকশায় চড়লেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। দুজন দুই মেরুর রাজনীতিবিদ হলেও জনসেবায় এক হয়ে কাজ করার অনন্য দৃষ্টান্ত গড়লেন। শনিবার বেলা ১১টার দিকে নগরীর ছড়া দখলমুক্তকরণ কাজ পরিদর্শন করতে গিয়ে এই উদাহরণ সৃষ্টি করেন তারা।
নগরীর মিরাবাজার সংলগ্ন রায়নগর এলাকায় গোয়ালীছড়াসহ সিলেট নগরীর বিভিন্ন ছড়া দেখতে সকালে মেয়র আরিফের সঙ্গে বের হন অথর্মন্ত্রী। ফরহাদ খাঁ পুলস্থ ছড়া সংলগ্ন এলাকা থেকে রিকশায় চড়ে অর্থমন্ত্রী ও মেয়র গোয়ালীছড়ার ভেতরের এলাকা দেখতে পাড়ার রাস্তা দিয়ে যান। পরে তারা একই রিকশায় আবার সেখানে ফেরেন।
পরিদর্শন শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, সিলেট নগরীর অন্যতম কয়েকটি সমস্যার মধ্যে যানজট ও জলাবদ্ধতা অন্যতম দুটি সমস্যা। আরিফুল হক মেয়র নির্বাচিত হয়ে এই দুটি কাজে হাত দিয়েছেন। এটাকে আমি সাধুবাদ জানাই।
মন্ত্রী বলেন, সিলেটের উন্নয়নে আমরা কাজ করে যেতে চাই। জনসেবায় কোনো দল নেই, কোনো মতভেদ নেই। এক্ষেত্রে সকলকে এক থাকতে হবে। ছড়া উদ্ধারে প্রাথমিক কাজের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এতে সবধরণের সহায়তা দিয়ে যাবো।
তিনি বলেন, প্রত্যেকের মনে রাখতে হবে, আমার একটি স্বার্থের কারণে সারা শহরবাসীর যেনো কষ্ট পেতে না হয়। ছড়ার জায়গা যার যার দখলে পড়েছে সেগুলো ছেড়ে দিতে তিনি নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ জানান।
মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, প্রায় সবকটি ছড়া দখল হয়ে গেছে। এসব দখলমুক্ত হলে জলাবদ্ধতা হবে না। সিলেট নগরীর সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পাবে। হাতিরঝিলের মতো প্রকল্প হাতে নেয়া যাবে। এই উদ্ধার প্রক্রিয়া একটি দীর্ঘমেয়াদী এবং কঠিন কাজ। তবুও তা হবেই। নগরবাসীর কথা চিন্তা করে সবাই এতে সহযোগিতা করবেন বলে আমার বিশ্বাস। তিনি অর্থমন্ত্রীর সহযোগিতার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানান।
দুজনই সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকার মানুষের ভোটে নির্বাচিত। তাই প্রত্যাশা পূরণে তাদের এই অন্তরঙ্গ মুহূর্ত জনগণের প্রত্যাশার বাইরে কিছু নয় বলে মন্তব্য করেন উপস্থিত স্থানীয় লোকজন। দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতে এরকম সহাবস্থান জাতি প্রত্যাশা করে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ প্রশাসক আব্দুজ জহির চৌধুরী সুফিয়ান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আহমদ, সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান, প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান প্রমুখ।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button