তারেক খালাস, মামুনের ৭ বছরের কারাদণ্ড
অর্থ পাচার মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে খালাস দিয়েছে আদালত। একই মামলায় ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। একই সাথে তাকে ৪০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।
রোববার বেলা সোয়া ১২টায় ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ মো. মোতাহার হোসেন জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে বেলা ১১টা ৫৪ মিনিটে এজলাসে আসন গ্রহণ করেন বিচারক। বেলা ১২টার কিছু আগে রায় পাঠ শুরু করেন জজ মো. মোতাহার হোসেন। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তারেক রহমান বর্তমানে যুক্তরাজ্যে চিকিৎসাধীন থাকায় তিনি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। প্রায় দুই বছর চার মাস বিচারিক কার্যক্রম শেষে বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন। ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলাটি করে দুদক।
২০১০ সালের ৬ জুলাই তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করা হয়। ২০১১ সালের ৮ আগস্ট এ মামলার তারেক ও মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করা হয়। মামলার অভিযোগে বলা হয়, টঙ্গিতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য নির্মাণ কন্সট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের মালিক খাদিজা ইসলামের নিকট থেকে গিয়াসউদ্দিন আল মামুন ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা নেন। সিঙ্গাপুরে এই টাকা লেনদেন হয়। এরপর মামুন এই অর্থ সিঙ্গাপুরের ক্যাপিটাল স্ট্রিটের সিটি ব্যাংক এনএতে তার নামের ব্যাংক হিসাবে জমা দেন। এই টাকার মধ্যে তারেক রহমান ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা খরচ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।