বগুড়ায় বিএনপির আনন্দ মিছিল, মিষ্টি বিতরণ
এক মুহুর্তে পাল্টে গেছে বগুড়ার চিত্র। বিজিবি-র্যাবের সতর্ক টহল আর পুলিশের রণপ্রস্তুতি দেখে সকাল থেকে যে চাপা উত্তেজনায় শহরে গুমোট ভাব বিরাজ করছিল তা হঠাত্ করেই আনন্দ উল্লাসের উন্মাদনায় ভেসে গেছে। অর্থপাচার মমলায় তারেক রহমানের খালাসের রায় ঘোষণার সঙ্গে বগুড়ায় বিএনপি আনন্দ মিছিল বের করে। সেইসঙ্গে শহরজুড়ে অবিরাম আতশবাজি আর মিষ্টি বিতরণের ধুম পড়ে যায়।
তারেকের খালাসের রায় শোনার সঙ্গে সঙ্গে শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপি ও তাদের অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের আনন্দ মিছিলে জনতার ঢল নামে। একপর্যায়ে এসব আনন্দ মিছিল আতশবাজি করতে করতে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
গতরাত থেকে শহরে সংঘাত সহিংসতার আশংকায় অতিরিক্ত বিজিবি-র্যাব পুলিশ মোতায়েনের কারনে যে উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছিল এক মুহুর্তে তাও বদলে যায়।
বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল বলেন, “আদালতের রায়ে তারেক রহমানের যে বিজয় অর্জিত হয়েছে তা বগুড়াবাসী আনন্দের সঙ্গে উদযাপন করতে চায়। এই রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে তারেক রহমান বগুড়ার সন্তান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের যোগ্য উত্তরসুরী। আগামী দিনের দেশনায়ক তারেক রহমান দুর্নীতিবাজ নন, তিনি নির্দোষ। তার এ বিজয় মানে সারা দেশের দেশপ্রেমিক জনতার বিজয়।”
তারেকের মামলার রায় ঘোষণার পর বগুড়ার সাধারণ মানুষের মনেও স্বস্তি ফিরে এসেছে। সকাল থেকে আতঙ্কিত ব্যাবসায়ীরাও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন।
প্রশাসনেও স্বস্তি লক্ষ্য করা গেছে। বগুড়া জেলা প্রশাসক শফিকুর রেজা বিশ্বাস বলেছেন, প্রশাসন সবসময় জনগনের জানমালের নিরাপত্তা এবং শান্তিশৃংখলা বজায় রাখতে সজাগ রয়েছে। আশা করছি বগুড়ার মানুষ অশান্তির পরিবর্তে শান্তি ও স্বস্তির সঙ্গে বসবাস করবেন।
বগুড়ার পলিশ সুপার মো: মোজাম্মেল হক পিপিএম বলেন, “বগুড়ার মানুষ শান্তিপ্রিয়। আমরা আশা করছি বগুড়ায় কোনপ্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে না। প্রশাসন সব সময় সতর্ক রয়েছে। তবে রায় ঘোষণার পর আনন্দময় পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে সব ধরনের অনিশ্চয়তার অবসান হয়েছে।