চলে গেলেন প্রখ্যাত ব্রিটিশ সাহিত্যিক ডরিস লেসিং
নোবেলজয়ী প্রখ্যাত ব্রিটিশ সাহিত্যিক ডরিস লেসিং আর নেই। লন্ডনে নিজের বাড়িতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তার গ্রন্থের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান হারপার কলিনস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “রোববার সকালে তিনি তার নিজের বাড়িতে প্রশান্তভাবেই মৃত্যুবরণ করেছেন।” লেসিং ২০০৭ সালে ৮৮ বছর বয়সে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার জয় করেন। সাহিত্যে তিনিই সবচেয়ে বেশি বয়সে নোবেল পুরস্কার পান বলে বিবিসি জানিয়েছে। লেসিংয়ের দীর্ঘ দিনের বন্ধু এবং এজেন্ট জনাথন ক্লোয়েস বলেন, “একই সঙ্গে চটুল এবং বাস্তববাদী মনের অধিকারী লেসিং একজন চমৎকার সাহিত্যিক ছিলেন।’’
“তার জন্য কাজ করাটা খুবই উপভোগ্য ছিলো এবং আমরা তার ব্যাপকতাকে ভুলতে পারবো না।’’ লেসিং শেষ বয়সে তার কন্যা জেন এবং নাতনি অ্যান ও সুসানাহর কাছে থাকতেন।
ইরানে জন্মগ্রহণকারী লেসিং শিশু বয়সে জিম্বাবুয়ে যান। সেখান থেকে ১৯৪৯ সাল থেকে ইংল্যান্ডে বসবাস শুরু করেন তিনি।
১৯৫০ সালে লেসিংয়ের প্রথম উপন্যাস ‘দ্য গ্রাস ইজ সিঙগিং’ প্রকাশিত হয়। তবে ১৯৬২ সালে ‘দ্য গ্লোডেন নোটবুক’ উপন্যাসটি তাকে জনপ্রিয়তা এনে দেয়।
নোবেল পুরস্কার জয়ের সংবাদ শোনার পর লেসিং বলেছিলেন, তিনি ‘খুবই সম্মানিত বোধ করছেন’।
যদিও ১৯৬০-এর দশকে তিনি বলেছিলেন, নোবেল পুরস্কার কমিটি তাকে পছন্দ করেন না এবং তিনি কখনোই নোবেল পুরস্কার জিততে পারবেন না।
তাই পুরস্কারের ঘোষণার পর সেই কথা মনে করে লেসিং আরো বলেছিলেন, “এখন তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা এটা আমাকে দিতে যাচ্ছে। কেন? বলতে চাচ্ছি, ওই সময়ের চাইতে এখন কেন তারা আমাকে বেশি পছন্দ করছে?”