জাপানে ‘বাংলাদেশ নেক্সট’ সম্মেলন

Japanজাপানে ‘বাংলাদেশ নেক্সট’ ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো। বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় সফটওয়্যার ও আইসিটিনির্ভর শিল্পে বিনিয়োগে জাপানি আইটি উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে এ আয়োজন।
জাপানের রাজধানী টেকিওতে অবস্থিত শেরাটন মিয়াকো হোটেলে ‘বাংলাদেশ নেক্সট- ইয়োর নেক্সট আইটি ডেসটিনেশন’ শীর্ষক এ ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়।
জাপানে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে ও টোকিও চেম্বার অব কমার্স (টিসিসিআই) এবং জাপানে কর্মরত বাংলাদেশি আইটি পেশাজীবীদের সহযোগিতায় এতে জাপানের শতাধিক আইটি কোম্পানীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জাপানের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা সরাসরি অংশগ্রহণ করেন।
এ অনুষ্ঠানে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে বাংলাদেশ সরকার বদ্ধপরিকর। বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ করতে জাপানের আইটি উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি শামীম আহসান বলেন, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আইসিটি খাত থেকে বেসিস ১০০ কোটি মার্কিন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাজ শুরু করেছে।
এর মধ্যে শুধু জাপান থেকেই ২০ কোটি ডলার আয় হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি। উপস্থিত জাপানি আইটি উদ্যোক্তারা বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগে তাদের আন্তরিক সদিচ্ছা ও আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ বক্তব্যের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করে বিশিষ্ট আইটি পেশাজীবী, জেটিএস-এর রেজওয়ানুর কবির বাংলাদেশে জাপানের আইটি বাজার সম্প্রসারণে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের আইটি পেশাজীবীদের কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
শামীম আহসানের মূল উপস্থাপনার পর আরও চারটি আলাদা উপস্থাপনা ছিল অনুষ্ঠানে। গুগল জাপানের সাবেক সভাপতি নোরিয়ো মুরাকামি, বিএনআই এর সুনিচি নাকামুরা, বিজেআইটির নবুহিরো হায়াশি এবং বাংলাদেশ বিজনেস পার্টনার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরু ওকাজাকি জাপানি বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
এদের প্রত্যেকেই বাংলাদেশে ব্যবসার বিভিন্ন ইতিবাচক দিক তুলে ধরেন। মুরাকামি বলেন, জাপানের আইটি খাত বেশ ভালো অবস্থানে পৌঁছেছে। এখন আমাদের উচিত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসা সম্প্রসারণ করা এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশও তাদের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে।
এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত অংশ্রগহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন এবং প্যানেলিস্ট হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ম্যাথওয়ার্কসের ড. এম. মেজবাহ উদ্দিন ও ড. মোহাম্মদ মুকিত এবং কেডিডিআইয়ের রনি সাইদুল পারভেজ।
কিয়ুশো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আশির আহমেদ এ অনুষ্ঠানে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জাইকা, জেট্রো, এমইটিআইয়ের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। জাপানে গেমিংয়ের বৃহৎ প্রতিষ্ঠান গ্রি’র নিলুফা ইয়াসমিন পুরো অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
এ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাপানে কর্মরত বাংলাদেশের আইটি পেশাজীবী কাজী এনামুল হক এবং সাবেক বেসিস সভাপতি মাহবুব জামান।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button