‘আলফ্রেড নোবেল ক্ষমার অযোগ্য, ইউরোপ হবে ইসলামের’
আজ থেকে ৮৭ বছর আগে ১৯২৬ সালের এই দিনে নোবেল-জয়ী বিখ্যাত আইরিশ চিন্তাবিদ ও সাহিত্যিক জর্জ বার্নার্ড শ নোবেল পুরস্কারের অর্থ গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেছিলেন, আমি ডিনামাইট তৈরির জন্য আলফ্রেড নোবেলকে ক্ষমা করতে পারি, কিন্তু নোবেল পুরস্কারের প্রবর্তনকারীকে ক্ষমা করতে পারি না, কারণ একমাত্র মানুষরূপী শয়তানই এমন পুরস্কার প্রবর্তন করতে পারে।
সুইডিশ রসায়ন বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেল ডিনামাইট আবিষ্কারের পর মৃত্যুর সওদাগর’ হিসেবে নিন্দিত হওয়ায় নোবেল পুরস্কার প্রথা চালু করেছিলেন। কিন্তু এই প্রথা চালু হওয়ার পর বেশি দিন না যেতেই পুরস্কারটিকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে থাকে পাশ্চাত্য। কেবল তাই নয় এই পুরস্কারকে ব্যবহার করা হয় পাশ্চাত্যের আধিপত্যকামী, বিভেদকামী, শোষণকামী ও হত্যাযজ্ঞের নীতি জোরদারের হাতিয়ার হিসেবে।
তাই স্পষ্টভাষী সাহিত্যিক ও চিন্তাবিদ জর্জ বার্নার্ড শ (১৮৫৬-১৯৫০) এই পুরস্কারের তীব্র সমালোচনা করতে বাধ্য হয়েছিলেন।
পবিত্র ধর্ম ইসলাম ও বিশ্বনবী (সা.) সম্পর্কে নিজের গভীর শ্রদ্ধাবোধের জন্যও খ্যাতি অর্জন করেছেন এই সুনাম-ধন্য মনীষী।
তিনি বলেছেন, যদি কোনো ধর্ম ব্রিটেন ও এমনকি গোটা ইউরোপের ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পারে আগামী একশ বছরের মধ্যে তা হলে সেটা হবে ইসলাম।
শ আরো বলেছেন, আমি মুহাম্মাদ (সা.)’র ধর্মকে সব সময়ই গভীর শ্রদ্ধার চোখে দেখি, কারণ এর রয়েছে বিস্ময়কর গতিশীলতা বা শক্তি। আমার দৃষ্টিতে এটা হচ্ছে একমাত্র ধর্ম যার রয়েছে অস্তিত্বের জগতের পরিবর্তশীলতার সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেয়ার বা খাপ খাইয়ে নেয়ার ক্ষমতা, আর এ কারণে ইসলাম প্রত্যেক যুগেই মানুষকে নিজের দিকে আকৃষ্ট করতে সক্ষম। আমি মুহাম্মাদকে (সা.)-অধ্যয়ন করেছি, তিনি ছিলেন একজন বিস্ময়কর মানুষ এবং আমার মতে খ্রিস্ট বা ঈসা (আ.)’র বিরোধী হওয়ার ধারে কাছেও তিনি ছিলেন না, মুহাম্মাদকে(সা.) অবশ্যই মানবতার ত্রাণকর্তা বলা উচিত। আমি মুহাম্মাদের (সা.) ধর্ম সম্পর্কে এ ভবিষ্যদ্বাণী করছি যে এই ধর্ম আগামী দিনের ইউরোপে গৃহীত হবে এবং এই ধর্মকে সাদরে বরণ করে নেয়া এখনই শুরু হয়েছে।