মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশীদের হয়রানি রোধের আহ্বান
মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশী শ্রমিকরা যাতে কোন ধরনের হয়রানির শিকার না হয়, কুয়ালালামপুর সে বিষয়ে নজর রাখার আশ্বাস দিয়েছে। ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে আনুষ্ঠানিক বৈঠককালে এ আশ্বাস পাওয়া যায়। বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সফররত মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজ্জাক নিজ নিজ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের একথা জানান। বৈঠকে মালয়েশীয় প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের লাভজনক খাতে আরও বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করে। একই সঙ্গে মালয়েশীয় উদ্যোক্তারা এসব খাত যাচাই করছে বলেও জানানো হয়। বৈঠককালে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আশা করেন বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। মালয়েশিয়ায় বিপুল সংখ্যক শ্রমিক কর্মরত থাকার কথা উল্লেখ করে নাজিব রাজ্জাক জানান, তার দেশের উন্নয়নে আরও শ্রমিক প্রয়োজন। আলোচনায় শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে আরও শ্রমিক নিয়োগের জন্য মালয়েশিয়ার সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, অর্থনীতির যে কোন সেক্টরে কাজ করার জন্য আমাদের দক্ষ ও আধাদক্ষ শ্রমশক্তি প্রস্তুত রয়েছে। উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য শ্রমিক নিয়োগের সময় আমাদের এই শ্রমশক্তির কথা বিবেচনা করার জন্য আমি অনুরোধ করছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক শ্রমিক কর্মরত থাকায় প্রমাণিত হয়েছে দু’দেশের বন্ধুত্ব অত্যন্ত গভীর। তারা উভয় দেশে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখছেন। আনুষ্ঠানিক আলোচনায় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে পররাষ্ট্র, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান, শিল্পমন্ত্রী ছাড়াও এম্বাসেডর এ্যাট লার্জ, মুখ্যসচিব, পররাষ্ট্র সচিব, প্রধানমন্ত্রীর পিএমও এবং প্রেস সচিব উপস্থিত ছিলেন। এর আগে দুই প্রধানমন্ত্রী একান্ত বৈঠক করেন। সন্ধ্যায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য বৈঠক করতে বঙ্গভবনে যান। তিনি পরে বঙ্গভবনে পরিদর্শক বইতে স্বাক্ষর করেন। বৈঠকে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীরা এবং প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।
গত রোববার রাতে ঢাকায় আসেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী। –বাসস