লেবাননে ইরানি দূতাবাসে বিস্ফোরণ : কালচারাল অ্যাটাশেসহ নিহত ২৩
লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইরানি দূতাবাসের কাছে গতকাল দু’টি প্রচণ্ড বিস্ফোরণে অন্তত ২৩ জন নিহত ও ৯৫ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দু’জন ইরানি নাগরিক রয়েছেন। বৈরুতের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। লেবাননের জাতীয় নিউজ এজেন্সি জানায়, গতকাল সকালের দিকে বৈরুতের জঙ্গি শিয়া গ্রুপের শক্ত ঘাঁটি অভিজাত এলাকা জানাহতে এ বিস্ফোরণ ঘটে। একটি বিস্ফোরণে ইরানি দূতাবাসের বিশালাকারের কালো রঙের প্রধান গেটটি উড়ে যায় এবং তিনতলা ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিস্ফোরণের পর ধ্বংসস্তূপ রাস্তার ওপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে এবং গাড়িগুলোয় আগুন ধরে যায়। এ সময় লোকেরা আতঙ্কে সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যেতে থাকে। খবরে বলা হয়, প্রথম বিস্ফোরণটি রকেট হামলার কারণে ঘটে আর দ্বিতীয়টি ছিল গাড়ি বোমার বিস্ফোরণ। তবে সরকারিভাবে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি। তবে লেবাননি কর্মকর্তারা জানান, সিসি টিভির ফুটেজে দেখা গেছে, এক ব্যক্তি দূতাবাসের দিকে দৌড়ে গিয়ে নিজেকে উড়িয়ে দিচ্ছে। এটি ছিল প্রথম বিস্ফোরণ। লেবাননের একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা এ হতাহতের কথা নিশ্চিত করেছেন। নিয়ম অনুযায়ী ওই কর্মকর্তা নাম জানাতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন। বিস্ফোরণে আশপাশের বেশ কয়েকটি বাড়িঘর তিগ্রস্ত হয়েছে। এর আগে গত ১৫ আগস্ট বৈরুতের একই এলাকায় আরেকটি গাড়ি বোমা হামলায় ১৬ জন নিহত হয়েছিল। ইরানি রাষ্ট্রদূত বলেন, এ হামলার জন্য ইসরাইল দায়ী। তবে ইসরাইল সাথে সাথেই এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সিরিয়া এ বিস্ফোরণের নিন্দা করেছে। সিরিয়ার সঙ্ঘাত লেবাননে শিয়া-সুন্নি উত্তেজনা বৃদ্ধি করেছে। লেবাননের কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী নজিব মিকাতি এ হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, এর লক্ষ হচ্ছে লেবাননের পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করে তোলা এবং লেবাননের ক্ষেত্রকে ব্যবহার করে তাদের বার্তা পৌঁছে দেয়া। সিরিয়ার জনগণের সশস্ত্র বিপ্লবের বিরুদ্ধে স্বৈরাচারী প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সরকারের পক্ষ নিয়ে হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের লড়াই করার প্রতিশোধ নিতে সম্প্রতি লেবাননে শিয়া শক্ত ঘাঁটিগুলোর ওপর হামলা হচ্ছে। এ হামলাও তার অংশ বলে মনে করা হচ্ছে।