সিলেটে ছাত্রদলকর্মী খুন, প্রতিবাদে বিক্ষোভ ভাংচুর সড়ক অবরোধ

Sylhetসিলেট নগরীর জালালাবাদ আবাসিক এলাকায় দুর্বৃত্তের অস্ত্রাঘাতে মিজান নামের এক ছাত্রদলকর্মী খুন হয়েছেন। স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে যায়, গত শনিবার ইফতারের পর জালালাবাদ আবাসিক এলাকায় ছাত্রলীগের একটি গ্রুপের সঙ্গে মিজানের বিরোধ হয়। এর জের ধরে তারা তাকে ছুরিকাঘাত করে। এতে তার মৃত্যু হয়। সে ছাত্রদলের মিজান গ্রুপের কর্মী। এ ঘটনায় নগরীর সুবিদবাজার এলাকায় ব্যাপক ভাংচুর হয়েছে। ছাত্রদল এজন্য সাবেক ছাত্রলীগ ক্যাডার আফতাব ও পাঙ্গাসকে দায়ী করেছে। ছাত্রদলকর্মী খুনের ঘটনায় জালালাবাদ এলাকায় বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর ও সড়ক অবরোধ করে স্থানীয়রা।
ছাত্রদলের পক্ষ থেকে এ খুনের জন্য ছাত্রলীগের আফতাব-পাঙ্গাস গ্রুপকে দায়ী করা হলেও তারা তা অস্বীকার করেছে। তারা বলছে, ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে খুন হয়েছেন মিজান। তবে নিহতের বাবা এ বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ। দোকানপাটে ভাংচুরের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরাও রাস্তায় নেমে আসেন। নিহত মিজানুর রহমান নগরীর আম্বরখানা (শুভেচ্ছা ১৮) এলাকার বাসিন্দা জিনু মিয়ার ছেলে এবং উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরী মিজানের গ্রুপের কর্মী বলে জানা গেছে।
ছাত্রদল নেতা জিল্লুর রহমান জিলু অভিযোগ করে বলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আফতাব গ্রুপের কর্মী মিসবাহর সঙ্গে তিন-চার মাসে আগে ফাজিলচিশত এলাকায় মারামারি হয় মিজান ও তার কয়েকজন দলীয় সহকর্মীর। এর জের ধরে শনিবার ইফতারের পর জালালাবাদ আবাসিক এলাকা থেকে মিজানকে তুলে নিয়ে যায় আফতাব গ্রুপের পাঙ্গাস ও তার সহযোগীরা। অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে মিজানকে বেধড়ক মারপিট ও একাধিক ছুরিকাঘাতে আহত করে সন্ত্রাসীরা। রাত ৮টার দিকে তারা গুরুতর আহত অবস্থায় মিজানকে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের দর্শনদেউড়ি সংলগ্ন ব্রিজের ওপর ফেলে রেখে যায়। সেখান থেকে এক রিকশাচালক মিজানকে নিয়ে যান ওসমানী হাসপাতালে। সেখানে নেয়ার পর ডাক্তাররা মিজানকে মৃত ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button