নির্বাচনী মন্ত্রিসভায় ২৯ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী
নির্বাচনী মন্ত্রিসভায় ২৯ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী স্থান পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রীদের দপ্তর বণ্টন করা হয়েছে। নতুন আটজন মন্ত্রীকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া ছাড়াও পুরনো মন্ত্রীদের দপ্তরও করা হয়েছে পুনর্বন্টন। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক গেজেটে মন্ত্রীদের নাম ও মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত করা হয়।
নির্বাচনকালীন এই সরকারের প্রধান হিসেবে থাকবেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জনপ্রশাসন, সশস্ত্র বাহিনী ও প্রতিরা মন্ত্রণালয়ও থাকবে প্রধানমন্ত্রীর অধীনে। পুরনো মন্ত্রীদের মধ্যে বাদ পড়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মণি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর এবং আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এ এইচ মাহমুদ আলীকে কিন্তু স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব কাউকে দেয়া হয়নি। শামসুল হক টুকু স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আর কামরুল ইসলাম আইন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে বহাল রয়েছেন। আবুল মাল আবদুল মুহিত অর্থ, মতিয়া চৌধুরী কৃষি, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম স্থানীয় সরকার, হাসানুল হক ইনু তথ্য, নুরুল ইসলাম নাহিদ শিা এবং ওবায়দুল কাদের যোগাযোগ মন্ত্রণালয়েরই দায়িত্বে রয়েছেন। বাদ পড়েছেন সাহারা খাতুন, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, দিলীপ বড়ুয়া, জাহাঙ্গীর কবির নানক।
মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়েছে এই নেতারাসহ ১৬জন মন্ত্রী ও ১৪জন প্রতিমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন এবং রাষ্ট্রপতি তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। নতুন মন্ত্রীদের মধ্যে আমির হোসেন আমুকে ভূমি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, তোফায়েল আহমেদকে শিল্প, রাশেদ খান মেননকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ, রওশন এরশাদকে স্বাস্থ্য, আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে পানিসম্পদ, রুহুল আমিন হাওলাদারকে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিসভার সদস্য অর্থ মন্ত্রণালয় আবুল মাল আবদুল মুহিত; পরিকল্পনা এ কে খন্দকার; কৃষি ও মত্স্য মতিয়া চৌধুরী; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম; তথ্য ও সংস্কৃতি হাসানুল হক ইনু; বাণিজ্য জি এম কাদের; যোগাযোগ ওবায়দুল কাদের; পররাষ্ট্র এ এইচ মাহমুদ আলী; আবদুল লতিফ সিদ্দিক বস্ত্র ও পাট; শিা, প্রাথমিক ও গণশিা নুরুল ইসলাম নাহিদ; রেলপথ ও ধর্ম মুজিবুল হক, খাদ্য রমেশ চন্দ্র সেন, পরিবেশ ও বন হাছান মাহমুদ, প্রবাসী, শ্রম, কর্মসংস্থান খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং নৌপরিবহন ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন শাজাহান খান। এ ছাড়াও নতুন শপথ নেওয়াদের মধ্যে আমির হোসেন আমু ভূমি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, তোফায়েল আহমেদ শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত, রাশেদ খান মেনন ডাক ও টেলিযোগাযোগ, রওশন এরশাদ স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ পানিসম্পদ, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। প্রতিমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দীপংকর তালুকদার পার্বত্য চট্টগ্রাম, কামরুল ইসলাম আইন বিচার ও সংসদ; মন্নুজান সুফিয়ান শ্রম ও কর্মসংস্থান, প্রমোদ মানকিন সমাজকল্যাণ, শামসুল হক টুকু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া নতুন শপথ নেওয়া দুই প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু যুব ও ক্রীড়া এবং সালমা ইসলাম মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। উপদেষ্টা এ ছাড়াও দিলীপ বড়ুয়া ও শফিক আহমেদকে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা করা হয়েছে।