সুইডেনে মসজিদে ভাঙচুর
উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র সুইডেনের একটি মসজিদে নজিরবিহীন হামলার ঘটনা ঘটেছে । স্টকহোমের দক্ষিণে অবস্থিত ফিতজা মসজিদের প্রধান ফটকের জানালা ভাঙার পর ভেতরে শূকরের মল নিক্ষেপ করা হয় ।
পুলিশ কর্মকর্তা উলফ লিন্ডগ্রিন এএফপিকে বলেন, সকাল ১১টার কিছু সময় পূর্বে আমি ফিতজার একটি মসজিদ থেকে ফোনকল পাই। টেলিফোনের ঐ ব্যক্তি আমাকে জানায়, সে মসজিদে পৌঁছেই দেখে যে ভেতরে শূকরের মল পড়ে আছে। পুলিশ রিপোর্ট অনুযায়ী এ ধরনের ঘটনাকে ধ্বংসাত্মক ও হিংসামূলক অপরাধ কার্যক্রম হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। তবে লিন্ডগ্রিন বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন যে, যেহেতু এটি শূকরের মল সুতরাং এখানে ভিন্ন কোন বিষয় থাকতে পারে। ইসলাম শূকরকে নাপাক হিসেবে অবিহিত করেছে যেহেতু এটি সর্বভূক। অপবিত্র ও অস্বাস্থ্যকর হওয়ার কারণে মুসলমানরা শূকরের গোশত খায় না।
পুলিশ এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী খুঁজছে। তারা জানিয়েছে, ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কাউকে এখনোও চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। তবে বর্ণবাদী এ আচরণের রহস্য উদঘাটনে ফিতজা মসজিদের চারিদিকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। স্টকহোমের ফিতজা জেলায় মসজিদটি ২০০৭ সালে নির্মাণ করা হয়। এটি সুইডেনের একমাত্র মসজিদ যেখানে আযান দেয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে। মসজিদটিতে ১৫০০’রও বেশি লোক নামাজ আদায় করে থাকে । তাছাড়া সুইডেনে গত ২৬ এপ্রিল শুক্রবার ফিতজা গ্র্যান্ড মসজিদেই সর্বপ্রথম আযান দেয়া হয় । একই মাসের প্রথম দিকে স্থানীয় পুলিশ ফিতজা মসজিদে আযানের অনুমোদন দিয়ে একটি আইন জারি করে । আইন মোতাবেক কেবল প্রতি শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে ১টার মধ্যবর্তী যে কোন ৩ থেকে ৫ মিনিট সময়ের মধ্যেই আযান সম্পন্ন করতে হবে। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের তথ্য অনুযায়ী, সুইডেনে সাড়ে চার থেকে পাঁচ লাখ মুসলমান বসবাস করে । দেশটির মোট জনসংখ্যা প্রায় ৯০ লাখ।