ইউনাইটেড এয়ারকে বিশেষ ছাড় দেয়ার নির্দেশ
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বিশেষ আইন থেকে ইউনাইটেড এয়ারকে অব্যাহতি দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। গত ১৩ই নভেম্বর বিএসইসির চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মো. আবদুর রশিদ স্বাক্ষরিত চিঠি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। চিঠিতে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত পর্যটন খাতের কোম্পানি ইউনাইটেড এয়ারের উদ্যোক্তা-পরিচালকদের ন্যূনতম ২ শতাংশ ও সম্মিলিত ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১০ ও ২০১১ সালে পুঁজিবাজারের মহাধসে বাজারকে স্থিতিশীল করতে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির প্রত্যেক পরিচালককে ন্যূনতম ২ শতাংশ ও সম্মিলিত ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের বাধ্যবাধতা আরোপ করে বিএসইসি (সাবেক এসইসি)। এ বিধি মোতাবেক ইউনাইটে এয়ারওয়েজের পরিচালনা পর্ষদের মাত্র ১২ দশমিক ৩৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিএসইসির নির্দেশনা যথাযথভাবে পরিপালন না করায় ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের রাইট শেয়ার ইস্যুর ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দিয়েছে। আর সৃষ্ট জটিলতা নিরসনের লক্ষ্যে পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এ সুপারিশ করা হয়েছে। চিঠিতে বলা আছে, ‘ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি। ইতিমধ্যে কোম্পানিটি বিএসইসির ২০১১ সালের ২২শে নভেম্বরের জারি করা নির্দেশনা হতে অব্যাহতির জন্য বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে। মন্ত্রণালয় বিএসইসির প্রজ্ঞাপনটি পর্যালোচনা করে দেখেছে, তালিকাভুক্ত সব কোম্পানির পর্ষদকে পরিশোধিত মূলধনের ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ বাধ্যতামূলক। এভিয়েশন একটি পুঁজিঘন খাত। তাই পুঁজিঘন খাতের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ বেশি থাকায় সংশ্লিষ্ট কোম্পানির পরিচালকদের শেয়ার ধারণের ক্ষেত্রে বিএসইসির নির্ধারিত হারের চেয়ে কম হার হওয়া যুক্তিযুক্ত।’ এতে লেখা আছে, ‘এ ক্ষেত্রে দেশীয় বিনিয়োগ বাড়ানোর স্বার্থে এভিয়েশনের মতো পুঁজিঘন শিল্পের ক্ষেত্রে বিএসইসির জারি করা বিশেষ আইন (২ শতাংশ ও ৩০ শতাংশ) প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’