নিউইয়র্ক টাইমস কিনে নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী !

আহমেদ আরিফ: আ-তে আমার দেশ তুই রাজাকার, তুই রাজাকার। ম-তে মাহমুদুর রহমান তুই রাজাকার তুই রাজাকার -স্লোগান উঠেছিল শাহবাগের কথিত প্রজন্ম চত্বরে। সেখানে দৈনিক আমার দেশের বিরুদ্ধে স্লোগানই ওঠেনি; দৈনিক আমার দেশের সাংবাদিকরা লাঞ্ছিতও হয়েছিল।
কারণ, বাংলাদেশের প্রথম সারির জাতীয় দৈনিকগুলোর মধ্যে একমাত্র দৈনিক আমার দেশই শুরু থেকেই মানবতা বিরোধী টাইবুন্যালের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলে ধারাবাহিকভাবে প্রতিবেদন করেছে। তাই দৈনিক আমার দেশ রাজাকার, দৈনিক আমার দেশের সম্পাদক, সাংবাদিক, কর্মচারী এমনকি দারোয়ানরা পর্যন্ত রাজাকার ট্যাগিংয়ের শিকার হয়েছিলেন। এখনো শাহবাগীরা দৈনিক আমার দেশ সংলিষ্টদের রাজাকার গালি দিয়ে সুখ অনুভব করে!
সম্প্রতি বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমসের ‘Political Crisis in Bangladesh’ শিরোনামের সম্পাদকীয়তে কোনো রকম লুকোচুরি না করে স্পষ্ট লেখা হয়েছে, ১৯৭১-এ পাকিস্তানের সহায়তাকারীদের নৃশংসতার বিচার করার জন্যে ২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনাল গঠন করা হয়।এই ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয় মূলত বিরোধী দলের নেতাদেরকে নির্যাতন করার জন্যে। ( trials held by the International Crimes Tribunal in Bangladesh, which was set up in 2009 to try people accused of committing atrocities during the 1971 war with Pakistan, have targeted opposition leaders. The tribunal appears to be yet another tool to stifle political opponents.)
এর আগে বিশ্বের অন্যতম আরেকটি প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য ইকনোমিস্ট মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রতিবেদন করে বিচার প্রক্রিয়াকে আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে প্রশ্নবোধক করায় শাহবাগী এবং আওয়ামীলীগের যৌথ প্রচারণা ছিল, দ্য ইকনোমিস্টের সাংবাদিকদের কিনে নিয়েছে জামায়াত ইসলামী। তাই টাকা খেয়ে বিচার প্রক্রিয়া বানচালের চেষ্টা করছে।
এবার কোনো রাখ-ঢাক না রেখে নিউইয়র্ক টাইমসের মতো বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী পত্রিকার সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, এই ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয় মূলত বিরোধী দলের নেতাদেরকে নির্যাতন করার জন্যে। শাহবাগীরা, আওয়ামীলীগাররা এবার কি বলবে? নিউইয়র্ক টাইমস কিনে নিয়েছে জামায়াত ইসলামী?

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button